নয়া দিল্লি: সেলফি স্টিক আর মোবাইল ফোন হাতে এখন ভিডিও তোলার ধুম সর্বত্র। আর মোবাইলে ভিডিও বানিয়ে ঝটপট আপলোড করে জলপ্রিয়তা পাওয়া এখন অনেকেরই নেশার মতো। বাড়ির ড্রয়িংরুম থেকে মন্দির, সব জায়গা গিয়ে ভিডিও বানানো অনেকেরই নেশা। ভিউ-এর দৌড়ে এগিয়ে থাকতে ঝটপট তার সঙ্গে লাগিয়ে ফেলেন অনেকে ট্রেন্ডিং একটা গান। তা সে-গান মানানসই হল কি হল না , কুছ পরোয়া নেহি। ট্রেন্ডিং গানের সঙ্গে রিল বা শর্ট ভিডিও বানানো মানেই বেশি ভিউ পাওয়া। তাই ধর্মের ভিডিওর সঙ্গে প্রেমের গান, কিংবা রান্নার ভিডিওর সঙ্গে শোকের গান, যা হোক একটা কিছু হলেই হল। এই ভিডিও অনেক সময়ই হাস্যকর বা বিরক্তিকর হয়ে যায়। এবার এই রীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াল দেশের এক বিখ্যাত মন্দির। 


উদয়পুরের ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির কর্তৃপক্ষ হল কড়া। তারা মনে করছে, যেমন-তেমন গানের সঙ্গে মন্দিরের ভিডিও মিশ্রণ করে আপলোড করা রুচিবিরোধী। তাই এ ধরনের শর্ট ভিডিও বা রিল তৈরির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে  ত্রিপুরার গোমতী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিস । বৃহস্পতিবার এ নিষেধাজ্ঞা  আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়। মন্দির কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যদি কেউ প্রশাসনিক আদেশ না মানে, তবে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।


ভারত, নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, তিব্বত, ভুটান এবং শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে মোট ৫১ টি সতীপীঠ আছে। তার মধ্যে ত্রিপুরা সুন্দরীর পবিত্র তীর্থস্থান অন্যতম। এবার তারা এই নিয়ম জারি করল। 


মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে,   মন্দিরে ভিডিও ক্লিপ তৈরি করা, কোনও অশ্লীল গানের রিল তৈরি করা বা ব্যাকগ্রাউন্ডে মন্দিরের গর্ভগৃহের ভিডিও দিয়ে নাচের ভিডিও  করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  এগুলি পবিত্র তীর্থস্থানের সাথে জড়িত মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে বলে মনে করছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।  নিয়ম অমান্য করলে, ফৌজদারি আইনের উপযুক্ত ধারায় এই ধরনের আচরণের জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। 


ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দিরটি কুর্ম পীঠ নামেও পরিচিত কারণ মন্দিরটির  আকৃতি কচ্ছপের মতো। মন্দিরের কাঠামোটি প্রথম দেখায় একটি অনেকটা বৌদ্ধ স্তূপ বলে মনে হয়। মহারাজা ধন্য মাণিক্য ১৫০১ সালে ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।   


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।