ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) উজ্জয়িনীতে (Ujjain) জ্যোতির্লিঙ্গ মহাকালেশ্বরের (Mahakal Temple Corridor) নতুন করিডরের প্রথম ধাপের কাজ শেষ। সোমবার করিডোর পরিদর্শন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) শিবরাজ সিং চৌহান (shivraj singh chouhan)। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, 'আজ যে কাজ দেখেছি, তাতে সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১১ অক্টোবর নতুন করিডোর উদ্বোধন করবেন।'


করিডোরের খুঁটিনাটি: 
মহাকাল করিডোরের কাজ দুটি ধাপে করা হচ্ছে। বর্তমানে এই মন্দির চত্বরের যা আয়তন, প্রকল্পটির রূপায়ণের পর তার আট গুণ বেড়ে দাঁড়াবে বলে দাবি প্রশাসনের। এই মুহূর্তে ২.৮২ হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে মন্দির চত্বরটি। ২০২৩ সালের মধ্যে ওই এলাকা গিয়ে পৌঁছবে ২০.২৩ হেক্টরে। প্রথম ধাপে থাকছে ৯০০ মিটার লম্বা একটি করিডোর। অগুনতি স্থাপত্য থাকার কথা সেখানে। থাকবে থিম-পার্ক, ই-ট্রান্সপোর্ট পরিষেবা, হেরিটেজ মল ইত্যাদি। দ্বিতীয় পর্যায়ে মহারাজওয়াড়া স্কুল ভবনকে ঐতিহ্যবাহী ধর্মশালায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়া আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রূপায়ণের নকশা তৈরি করছে তারা। যেমন শিপ্রা নদী ও রুদ্র সাগরের সংযোগস্থন নির্মাণ, হ্রদের সামনের অংশের সৌন্দর্যায়ন, বহুস্তরীয় পার্কিং ব্যবস্থা যেখানে অন্তত সাড়ে তিনশো গাড়ি রাখার জায়গা থাকবে। এছাড়া একটা রেলওয়ে আন্ডারপাস ও রুদ্রসাগরের উপর ২১০ মিটার লম্বা ঝুলন্ত সেতুও বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রামঘাটের কাছে চোখধাঁধানো 'লাইট শো'-র ব্যবস্থাও করা হবে, খবর সরকারি সূত্রে। এই পর্যায়ের কাজ শেষ হতে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সময় লাগার কথা। 


খরচের খতিয়ান...
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে, এই প্রকল্পের করিডোর অংশটুকু রূপায়ণ খাতে প্রাথমিক ভাবে ৫০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। তবে প্রথম পর্যায়ের কাজে সম্ভবত সাড়ে তিনশো কোটি টাকা খরচ হয়েছে। পুরো প্রকল্প রূপায়ণে আনুমানিক 750 কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে খবর। উজ্জয়িনীর মহাকাল মন্দির করিডোরকে প্রযুক্তিগত দিক থেকে দেশের আধুনিকতম কেন্দ্র করে তুলতেই এই উদ্য়োগ, ব্যাখ্যা শিবরাজ সিং চৌহান সরকারের। উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডোরের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


এবার পালা মহাকাল মন্দির করিডোরের। অপেক্ষা এখন ১১ অক্টোবরের।


আরও পড়ুন:'বেকারদের চোখের জল দেখতে পাই', এবিপি আনন্দে অকপট বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়