লন্ডন : ব্রিটেনের স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ভারতের ভ্যারিয়েন্ট। শুক্রবার এই সতর্কবার্তা দেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জনজীবন পুনরায় স্বাভাবিক হওয়ার পথে সোমবার আরও এক একধাপ এগনোর কথা ব্রিটেনের। কিন্তু, ২১ জুন শেষ ধাপ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। যদিও জনসন বলেন, "আমাদের রোডম্যাপে দেরি করা উচিত হবে না। কিন্তু, উন্নতির পথে এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য যা করার প্রয়োজন আমরা তা করব।"


ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে,  B1.617.2 ভ্যারিয়েন্ট উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। কিছুটা লন্ডনেও ছড়াচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।


এই পরিস্থিতিতে ৫০-এর বেশি বয়সিদের এবং শারীরিকভাবে যাঁরা দুর্বল, তাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সাংবাদিক বৈঠকে জানান জনসন। সরকারি সূত্রে খবর, নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের জেরে গত সপ্তাহে যেখানে ৫২০ জন সংক্রমিত হয়েছিলেন, সেখানে এ সপ্তাহে ১ হাজার ৩১৩ জন আক্রান্ত। তাই পরীক্ষা এবং স্থানীয়স্তরে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।


জানসন জানিয়েছেন, নতুন ভ্যারিয়েন্ট অন্য স্ট্রেনগুলির থেকে আরও বেশি সংক্রামক কি না, সেই সংক্রান্ত ডাটার উপর অপেক্ষা করছে ইংল্যান্ড সরকার। এদিকে চিফ মেডিক্যাল অফিসার ক্রিস হুইটি জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে নতুন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক। কিন্তু, সেটা কতটা সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন তাঁরা।


প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে সংক্রমণের হার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এনেছে ব্রিটেন। এর পিছনে রয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। সরকারি আধিকারিকরা আশাবাদী, নতুন ভ্যারিয়েন্টেও কার্যকরী হবে ভ্যাকসিন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ নেই যে গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে কম কার্যকরী আমাদের ভ্যাকসিন। গতবার আমরা যখন নতুন ভ্যারিয়েন্টের মুখোমুখি হয়েছিলাম, সেবারের থেকে এবার আমাদের পরিস্থিতি আলাদা।" উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতকে ট্রাভেলে লাল তালিকায় রাখে ব্রিটেন। অর্থাৎ ভারত থেকে কেউ সেদেশে গেলে তাঁকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।