নয়া দিল্লি: বেলারুশে ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল রাশিয়া। সেই বৈঠকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ইউক্রেন। যুদ্ধ থামাতে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আশ্বাস দিল রাশিয়াও। দ্বিতীয় বৈঠক হবে পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে। এরই মধ্যে সোমবারই একটি সূত্র মারফৎ দাবি করা হয়, রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধাভ্যাস শুরু করে দিয়েছে। যা নিয়ে চিন্তিত রাষ্ট্রসংঘও।
ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) বিশেষ অধিবেশন চলছে। যুদ্ধ চলাকালীন নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শুরু হয়। সেখানেই রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেস বলেছেন, "এই যুদ্ধ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। মারাত্মক রূপ ধারণ করছে এই যুদ্ধ। অবিলম্বে এটি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।"
অ্যান্টনিও গুতারেস বলেছেন, "সোমবার রাশিয়া তার দেশের পারমাণবিক বাহিনীর ওপর রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। এটি কিন্তু কোনও সামান্য বিষয় নয়। পারমানবিক সংঘাত কল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। বাস্তবে এর কোনও অস্তিত্ব না হওয়াই কাম্য। পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে সমর্থন করতে পারে না বিশ্ব।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রসংঘে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিসিয়াস বলেন, "যদি [পুতিন] আত্মহত্যা করতে চান তবে তার পারমাণবিক অস্ত্রাগার ব্যবহার করার দরকার নেই। বার্লিনের লোকটি ১৯৪৫ সালের মে মাসে যা করেছিল, সেই পথেই হাঁটতে পারেন।" পাশাপাশি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বলেই যে এই আবহে শান্তিই একমাত্র সমাধান।
রাশিয়া-ইউক্রেন কূটনৈতিক টানাপোড়েনের সমাধানসূত্র বের করতে, সোমবার জরুরি অধিবেশন ডাকে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা। সেখানে ইউক্রেনের প্রতিনিধি বলেন, রাশিয়ার হামলায় এখনও অবধি ৩৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ১৬ জন শিশুও রয়েছে। এখনও রাশিয়া গোলাবর্ষণ থামায়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া আন্তর্জাতিক আইন মেনে, সেনা প্রত্যাহার করুক।
পাল্টা রাশিয়া জানায়, ইউক্রেন দখলের কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেস বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির একমাত্র সমাধান শান্তি। আমরা সব পক্ষকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে গুতারেস জানান, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে আশ্বাস দিয়েছেন যে রাষ্ট্রপুঞ্জ তাঁদের সবরকম সহায়তা করবে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের ফলে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যথেষ্ট হয়েছে, এবার সেনাদের ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। সাধারণ নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।