নয়া দিল্লি: স্থলভাগে প্রথমে কিয়েভের পর এবার জলপথে ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া। মার্কিন শান্তি বার্তা উপেক্ষা করেই এই প্রথম নৌ-ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়ে ইউক্রেনের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। 

রুশ বিদেশমন্ত্রক টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। বলা হয়েছে, ‘সিম্ফারোপোল’ নামে যুদ্ধজাহাজটি দানিয়ুব নদীর মধ্যে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘সিম্ফারোপোল’ যুদ্ধজাহাজ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনের বৃহত্তম জাহাজ বলে পরিচিত। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রেডিও, ইলেকট্রনিক, রাডার এবং অপটিক্যাল গোয়েন্দা বাহিনীর জন্য তৈরি লাগুনা-শ্রেণীর মাঝারি আকারের জাহাজটিতে দানিয়ুব নদীর ব-দ্বীপে আঘাত হানে, যার একটি অংশ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে অবস্থিত। অন্যদিকে, ইউক্রেনের নৌবাহিনীর মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, জাহাজটি ডুবে গিয়েছে।

TASS-এর এক প্রতিবেদনে একজন UAV বিশেষজ্ঞ জানান যেএটি ছিল ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর জাহাজকে ধ্বংস করার জন্য সমুদ্র ড্রোনের প্রথম সফল ব্যবহার। ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, হামলায় একজন ক্রু সদস্য নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।                                       

এদিকে, রাশিয়া ফের ভয়াবহ ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। সরকারি হিসাবে, এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে চারজন শিশু। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৮ জন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।                         

মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জেনারেল কিথ কেলগ বলেছেন, এই হামলা শান্তি প্রক্রিয়ার পথে বাধা। অন্যদিকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার কড়া ভাষায় রাশিয়ার হামলা নিন্দা করেছেন।