জয়ন্ত পাল, কলকাতা: রুটে বেআইনি অটো চলছে। এই অভিযোগ তুলে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে বাগুইআটি-উল্টোডাঙা রুটে অটো বন্ধ করে অবস্থানে বসেন চালকরা। আগাম ঘোষণা ছাড়া অটো বন্ধে চরম হয়রানির শিকার যাত্রীরা। 


সপ্তাহের শুরুর দিনই, বাগুইআটি-উল্টোডাঙার মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটে আচমকা বন্ধ অটো।  বেলা ১২টা থেকে অটো বন্ধ রেখে বাগুইআটি মোড়ে অবস্থানে বসেন চালকরা। বাগুইআটি-উল্টোডাঙা রুটে প্রায় ৪২৩টি অটো চলে। দিনের ব্যাস্ত সময়ে হঠাত্‍ অটো বন্ধ করে দেওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। 


অটো চালকদের অভিযোগ, বাগুইআটি-উল্টোডাঙা রুটে অনুমতি ছাড়াই অনেক বেআইনি অটো ঢুকে পড়েছে। প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয়। অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও সুরাহা হয়নি। তার প্রতিবাদেই এদিন অটো বন্ধ করে অবস্থানে বসেন চালকরা। আগাম ঘোষণা ছাড়া এভাবে অটো বন্ধ করে দুর্ভোগে ফেলা হল কেন? এই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন যাত্রীরা। 


কিছুদিন আগে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলে উল্টোডাঙা (Ultadanga)থেকে ৩টি রুটের অটো বন্ধ (Auto Service) রেখে প্রতিবাদে সামিল হলেন চালকরা। বন্ধ করে দেওয়া হয় উল্টোডাঙা থেকে লেকটাউন (Laketown), উল্টোডাঙা থেকে বাগুইআটি (Baguiati) ও উল্টোডাঙা থেকে সল্টলেক রুটের অটো। এর জেরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন সকালে চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।


সেবার অটো চালকদের অভিযোগ ছিল, যে জায়গা থেকে তাঁরা অটো ঘোরাতেন, সেখানে গার্ডরেল দিয়েছে পুলিশ। এর জেরে তাঁদের অনেকটা ঘুরে স্ট্যান্ডে আসতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে তাঁদের। এই হয়রানি বন্ধের দাবিতে আজ অটো বন্ধ রেখে প্রতিবাদে সামিল হন তিনটি রুটের বহু চালক। যদিও যাত্রীদের অভিযোগ, অনেক অটো চালকই ইদানীং বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন। অটো চালকরা আবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  


পুলিশের বিরুদ্ধে রুট বদলে হয়রানির অভিযোগ। প্রতিবাদে সোমবার উল্টোডাঙা থেকে ৭টি রুটের অটো পরিষেবা বন্ধ রাখলেন চালকরা। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। সোমবার বন্ধ থাকল উল্টোডাঙা থেকে বাগুইআটি, এয়ারপোর্ট, সল্টলেক, করুণাময়ী রুটের অটো পরিষেবা। অন্যদিকে প্রতিবাদে সামিল হলেন উল্টোডাঙা থেকে জোড়াবাগান, আহিরীটোলা ঘাট, শোভাবাজার রুটের অটো চালকরাও। 


তাঁদের দাবি, বাগুইআটি, সল্টলেক, এয়ারপোর্টের দিক থেকে উল্টোডাঙায় এসে ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ড থেকে অটো ইউটার্ন করে স্ট্যান্ডে নিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু, ইদানিং পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের পরিবর্তে আরও প্রায় ১ কিলোমিটার গিয়ে মুচিবাজার থেকে ইউটার্ন নিতে। অটোচালকদের অভিযোগ, এতে খরচ বেশি হচ্ছে তাঁদের।