নয়া দিল্লি: কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা ব্যর্থ, রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মুখ পুড়ল পাকিস্তানের। সূত্রের খবর, উল্টে পহেলগাঁওকাণ্ডে লস্কর-যোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ধর্মীয় পরিচয় জেনে পর্যটকদের খুন করার ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ।
পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করে বেশ কয়েকটি দেশ। সব মিলিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর পরামর্শ দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আসিম ইফতিখার আহমেদ জানান, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কাউন্সিলের সদস্যদের জানানো এই রুদ্ধদ্বার আলোচনার অন্যতম উদ্দেশ্য। সংঘর্ষ এড়াতে উদ্ভূত পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়েও মত বিনিময় হয়েছে ওই বৈঠকে।
পাকিস্তান বর্তমানে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য। সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে ‘রুদ্ধদ্বার আলোচনা’র জন্য নিরাপত্তা পরিষদে অনুরোধ করেছিল পাকিস্তান। চলতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতিত্ব করছে গ্রিস। তারাই সোমবার ওই বৈঠকের সূচি নির্ধারণ করে। তবে নিরাপত্তা পরিষদের যে অশ্বক্ষুরাকৃতি টেবিল-সহ ঘরে সদস্য রাষ্ট্রগুলি বৈঠকে বসে, সেখানে ওই বৈঠক হয়নি। ওই কক্ষের পাশে অন্য একটি ঘরে আলোচনায় বসেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা।
এদিকে, সীমান্তে পাক উস্কানি অব্যাহত। পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর এই নিয়ে টানা ১২ দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করল পাকিস্তান। পরপর ৩ দিন নিয়ন্ত্রণরেখার ওপার থেকে কাশ্মীর উপত্যকার ৮টি জায়গা--কুপওয়াড়া, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধর, নৌসেরা, সুন্দরবনি, আখনুর সেক্টর লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ছে পাক সেনা। গতকালও একই ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাব দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনী। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর প্রত্যাঘাত হানতে তৈরি ভারত।