তিরুঅনন্তপুরম: কেরলে কোভিড-১৯ দুর্দশার মুখ এখন সদ্য ২৮ বছর সম্পূর্ণ করা নিতিন চন্দ্রণ।


সম্প্রতি, লকডাউনে দুবাইতে আটকে পড়া স্বামীর দ্রুত প্রত্যর্পণের জন্য নিতিনের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আতিরা গীতা শ্রীধরণ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।


কিন্তু, ভাগ্যের পরিহাস! রবিবার ঘুমের মধ্য মারা যান পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ২৮ বছরের নিতিন। ঠিক একমাস আগেই, দুবাই থেকে বন্দে ভারত মিশনের অন্তর্গত প্রথম প্রত্যর্পণ ফ্লাইটে করে স্ত্রীকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিলেন নিতিন।


আসন্নপ্রসবা হওয়ায় বিশেষ জরুরি শ্রেণিতে প্রথম বিমানেই আতিরার টিকিট কনফার্মড হয়। ৭ মে ভারতে ফেরেন পেশায় তথ্য প্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ার আতিরা। ৭ জুন দুবাইতে মারা যান নিতিন।


দেশে ফিরে আতিরা কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এখনও জানেন না, তাঁর স্বামী আর নেই। তাঁর সন্তানের বাবা আর নেই। আতিরার শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে স্বামীর মৃত্যুর খবর তাঁকে দেননি পরিবারের সদস্যরা।


নিতিনের মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে, তাঁর বন্ধুদের দাবি, উচ্চরক্তচাপ ও হার্টের সমস্যা ছিল নিতিনের। সম্ভবত, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে এই তরুণের।


নিতিনের শবদেহ দুবাই পুলিশের মর্গে রাখা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা নিতিনের নশ্বর দেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন।