Union Budget 2022 India LIVE Updates আজ, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget ) পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ( Nirmala Sitharaman ) । ফেব্রুয়ারিতে ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে, মঙ্গলবার সংসদে বাজেট ( Union Budget) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ( FM Nirmala Sitharaman ) । ২ বছরের বেশি সময় ধরে চলা করোনার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই সময়টায় মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে করোনা কালের দুর্ভোগ। কীভাবে মহামারীর মুখে অসহায় মানুষ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। গ্রামাঞ্চল থেকে শহর, সর্বত্র হাহাকার দেখেছে মানুষ। অসম্ভব ক্রাইসিস দেখেছেন চিকিৎসকরা। এই পরিস্থিতির মধ্যেই তিনটি তরঙ্গ পার। এবার কেন্দ্রর কাছে কী প্রত্যাশা শহরের চিকিৎসকদের। 


চিকিৎসক কুণাল সরকার (Dr. Kunal Sarkar, Senior Cardiac Surgeon )জানালেন, প্রথমত এই ধন্দ কাটানো দরকার, কোনটা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প আর কোনটা রাজ্যের (central and state health schemes)। জনস্বাস্থ্যে বাড়াতে হবে বরাদ্দ। জিডিপির ৩ শতাংশ অন্তত জনস্বাস্থ্যে বরাদ্দ হোক, চান ডা. সরকার। মেডিক্লেম সাধারণ মানুষের একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় জিনিস। তাই এর প্রিমিয়াম, হোক করমুক্ত। এছাড়াও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দিকটি দেখুক সরকার। আশা ডা. কুণাল সরকারের। 


বারবার করে জনস্বাস্থ্যে  বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বললেন চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, কোভিডকালে যে পরিস্থিতি দেখেছে সাধারণ মানুষ, তা যেন ভবিষ্যতে আর দেখতে না হয়, তার জন্য জনস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। সেদিকে খরচ করতে হবে সরকারকে। তাছাড়া স্বাস্থ্যবিমার নিয়ম বদল করা সাধারণ মানুষের অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ( Dr Syamasis Bandyopadhyay | Rheumatologist ) প্রশ্ন তুললেন, কেন Pre-Existing Diseases থাকলে একজন মানুষ মেডিক্লেমের সুবিধে থেকে বঞ্চিত হবে।  উদাহরণ স্বরূপ তিনি বললেন, একবার কারও পেটের বড় অসুখ হয়ে থাকলে তিনি আর কোনও পেটের অসুখে বীমা সংস্থার থেকে টাকা পাবেন না , এমন কেন শর্ত হবে। কেন মানসিক স্বাস্থ্যে কারও সমস্যা হলে তিনি কভারেজ থেকে বঞ্চিত হবেন ! এই ধরনের ঘটনা তো ঘটেই। তাতে সাধারণ মানুষই বিপদে পড়েন। ' এই সব শর্ত যদি সরকার তুলে দিতে পারে, বিমা সব মানুষের  সব অসুখের জন্য সুনিশ্চিত করতে পারে তবেই একটা বড় কাজ হবে। ' বললেন তিনি। 


চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার (Dr Diptendra Sarkar, Consultant Surgeon, Surgical Oncologist, Breast and Endocrine surgeon) জানালেন, প্রথমত জনস্বাস্থ্যে নজর দিতে হবে। বেসিক হেলথ কেয়ারেই জোর দিতে হবে। গ্রামের প্রান্তিক মানুষের হেলথ কেয়ারের সুব্যবস্থা করতে একমাত্র সরকারই পারে। গ্রামগঞ্জে যাতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দেশের সব মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পায়, পরীক্ষানিরীক্ষা করাতে পারে সেই দিকে নজর দিতে হবে।  এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অ্যাসিওরড হেলথ-এ নজর দিতে হবে। ' অ্যাসিওরড হেলথ ইজ অলওয়েড বেটার দ্যান ইনশিওরড হেলথ ' বললেন ডা. সরকার। এছাড়া তিনি জোর দিয়েছেন ক্যান্সারের মতো সুপার স্পেশ্যালাইজড চিকিৎসায় বরাদ্দ বাড়াক কেন্দ্র, এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। তিনি বললেন, কোভিড পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে আবিষ্কার ও গবেষণা ক্ষেত্রে অনেক বেশি করে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সেখানে টাকা বেশি করে বরাদ্দ করতে হবে দেশের চিকিৎসার পরিকাঠামোর উন্নতি করার স্বার্থে। প্রথম ঢেউয়ের সময় বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল মানুষ।