নয়া দিল্লি: আগামী বুধবার কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে ছাড়পত্র দিতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এমনটাই সূত্রের খবর। যদিও সংযুক্ত কৃষক মোর্চা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন। ফসলের ন্যায্যমূল্য, লখিমপুরকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার দাবিতেও সরব কৃষক নেতারা।
দেশজোড়া বিতর্ক, এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চলার পরে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, আগামী বুধবার, এই আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে সবুজ সংকেত দিতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন।
অধিবেশনের শুরুর দিকেই ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে মোদি সরকার। তবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আইন প্রত্যাহারের গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়, ততদিন অবধি আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। রবিবার সিঙ্ঘুতে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার বৈঠক হয়। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ‘বিল তৈরি হয়, বাতিল হয়, আবার ফিরেও আসতে পারে’, কৃষি আইন নিয়ে মন্তব্য সাক্ষী মহারাজের
ফলে সোমবার লখনউয়ে কৃষক সমাবেশ। ২৬ নভেম্বর বিভিন্ন জায়গায় সভা এবং ২৯ নভেম্বর সংসদ চলো অভিযান কর্মসূচিতে কোনও বদল হচ্ছে না। এর পাশাপাশি, MSP বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করা
লখিমপুরে কৃষক হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তর বাবা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রকে বরখাস্ত করা-সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে মোদি সরকারের ওপর চাপ বজায় রাখার কৌশল নিয়ে এগোচ্ছেন কৃষক নেতারা।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা বলবীর সিংহ বলেন, "আমরা প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেব এমএসপি কমিটি গঠনের জন্য, এটা কৃষকদের অধিকার, এটা সরকারের কর্তব্য, লখিমপুরকাণ্ডে অজয় মিশ্রর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে, পরিস্থিতি নিয়ে ২৭ নভেম্বর ফের বৈঠক করা হবে, তখন কী পরিস্থিতি থাকছে, সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
শুক্রবারই কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছিলেন মোদি। ধীরে ধীরে কেন্দ্রের ওপর চাপও বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র বলেন, "পরিস্থিতি এখন অনুকূল নয়, যখন হবে, এই বিল আবার আনা হবে"। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের প্রশ্ন, তাহলে আগামী নির্বাচন মিটে গেলেই ফের কৃষি আইন আনবে না তো মোদি সরকার?