নয়াদিল্লি: বিমানের ইঞ্জিনে খরগোশের হানা। মাঝ আকাশেই বিপত্তি বাধল। আগুন ধরে গেল উড়ন্ত বিমানের ইঞ্জিনে। বিপদ থেকে বাঁচতে জরুরি অবতরণ করতে হল। অল্পের জন্য প্রাণ নিয়ে ফিরে এলেন বিমানে সওয়ার যাত্রীরা। (US Plane Fire)

আমেরিকার United Airlines-এর বিমানে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়েছিল UA2325 বিমানটি।  অ্যালবার্টার এটমন্টনের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু আকাশে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরই বিপত্তি দেখা দেয়। (Plane Accidents)

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের রেকর্ডিংয়ে যে কথোপকথন ধরা পড়েছে, তাতে বিমানকর্মীরা কাতর আর্জি জানাচ্ছেন। বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরেছেন কি না দেখতে বলছেন। এতে পাইলট জানান, ২ নম্বর ইঞ্জিনে খরগোশ ঢুকে পড়েছে। দূর থেকে আকাশে বিমানের একটি ইঞ্জিন দাউদাউ করে জ্বলতেও দেখা যায়।

জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় বিমানে সওয়ার ছিলেন ১৫৩ জন যাত্রী ও ছ’জন বিমানকর্মী। এক যাত্রী সংবাদমাধ্যমে বলেন, “হঠাৎ তীব্র শব্দ শুনতে পাই। বিমান হঠাৎ কাঁপতে শুরু করে। এর পরও বিমানটি উড়ছিল। মাটি থেকে বাড়ছিল উচ্চতা। কিন্তু প্রতি মুহূর্তেই ইঞ্জিন থেকে আগুন ছিটকে আসছিল। বিমানযাত্রীরা আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন সকলে।”

ডেনভার বিমানবন্দরে সেই সময় ছিলেন এক যাত্রী। তিনি বলেন, “আকাশে ওই দৃশ্য দেখে আমার পেটের ভিতর মোচড় দিয়ে ওঠে। বিমানটিকে মাটিতে আছড়ে পড়তে দেখব ভেবেই কেমন যেন হচ্ছিল।”

শেষ পর্যন্ত ডেনভার বিমানবন্দরেই ফিরে আসে বিমানটি। জরুরি পরিস্থিতিতে অবতরণ করানো হয় বিমানটিকে। যাত্রীদের অন্য একটি বিমানে চাপিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় গন্তব্যে।  United Airlines বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘ডেনভার থেকে এডমন্টনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া বিমান ডেনভারে নিরাপদে ফিরে এসেছে সম্ভাব্য বন্যপ্রাণীর আক্রমণের জেরে’। বিমানবন্দর থেকে উড়ানের সময়ই বিমানটির ইঞ্জিনে খরগোশ ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। গত কয়েক মাসে আমেরিকায় পর পর বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরে ২০০০০টি এমন ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বন্যপ্রাণী বিমানে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে চার বার খরগোশের আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। ডেনভারেই এর আগে এমন একটি ঘটনা ঘটে।