অকাল বৃষ্টিতে উথাল-পাথাল গুজরাত। রবিবার ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিতে বড়সড় ক্ষতির স্বীকার হল রাজ্য। রবিবার ভোর ৬ টা থেকে শুরু হয়ে যায় প্রবল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে বজ্রপাত। কিছুক্ষণ পরে নামে শিলাবৃষ্টি। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে এর  জেরে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে গুজরাতে। ভারী শিলাবৃষ্টির জেরে কোথাও কোথাও তো মনে হচ্ছিল, তুষারে ঢেকেছে চারিপাশ। 

রবিবার এ রাজ্যে হঠাৎ এই বৃষ্টি নামে। একেবারেই অসময়ের বর্ষণ বলা চলে।  এর ফলে  ক্ষতিগ্রস্ত হল বহু বাড়িঘর । ক্ষতি হয়  ফসলের। বৃষ্টির জেরে দুর্ঘটনায় জখম হন ১০ জন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর, বজ্রপাতের কারণে গুজরাতের ১৩টি জেলায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবারও গুজরাতের কিছু অংশে দুর্যোগ চলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 


পরিসংখ্যান অনুসারে,  বেশি বৃষ্টি হয়েছে  খেড়া, তাপী, আমরোলা, সুরাত, সুরেন্দ্রনগরের মতো জেলায়। আবহাওয়াবিদদের মতে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ থেকে ১১৭ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টি হয়েছে রাজস্থান অঞ্চলগুলিতেও। 


বজ্রপাতের জেরে গুজরাতের দাহোদে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, ভারুচে মারা গিয়েছেন দুজন। সুরাত, দ্বারকা, পঞ্চমহল, সুরেন্দ্রনগর, আমরেলি, খেড়া, আহমেদাবাদ গ্রামীণ, সবরকাঁথা এবং  মেহসানার মতো আরও কিছু জেলায় দুর্যোগে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাজকোটে খান্দেরি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ( Saurashtra Cricket Association Stadium ) । সূত্রের খবর, আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ, প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা। বৃষ্টির জন্য সৌরাষ্ট্রের মরবিতে সেরামিক শিল্প এবং অন্যান্য কারখানাগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। 


এই পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। উচ্চ সতর্কতা জারি করেছেন রাজ্যের তরফে। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র পটেল এখন সরকারি কাজে জাপান সফরে। তিনি কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন । কৃষকদের ক্ষতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সোমবার পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  


গুজরাতে  প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে  শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। 


 






নভেম্বরের শেষ ক’দিনে ভারী বৃষ্টি ও হালকা ঝড়ের সম্ভাবনা আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে। আজ থেকে ৩০ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের আন্দামানসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।        


 


আরও পড়ুন :   


কোভিডের পর চিনের নয়া আতঙ্ক শিশুদের নিউমোনিয়া! ভারতের কাছেও বিপদসঙ্কেত? কী বললেন ডা. অপূর্ব ঘোষ