লখনউ: কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বকরি ইদের আগে নয়া নির্দেশিকা জারি হল উত্তরপ্রদেশে। নতুন নিয়ম অনুসারে, উৎসবে কোনও জায়গায় ৫০ জনের বেশি জমায়েত করা যাবে না। সোমবারই এই নিয়ে অর্ডার ইস্যু করেছে রাজ্য সরকার।


কোভিডকালে নিয়ম মেনে পালন করতে হবে উৎসবের আনন্দ। সেই অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করল যোগী সরকার। নতুন নিয়ম অনুসারে পাবলিক প্লেস বা জনবহুল স্থানে পশু উৎসর্গে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এখানেই শেষ হয়নি বিধিনিষেধ। বকরি ইদ উপলক্ষে রাজ্যে গরু, উট ছাড়াও অন্য কোনও নিষিদ্ধ পশু হত্যা করা যাবে না। উৎসব উপলক্ষে কোনও নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হতে পারবেন না ৫০-এর বেশি লোক।


সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কেউ পশু উৎসর্গ করতে চাইলে ব্যক্তিগত স্থানে এই কাজ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে উৎসর্গকারীকে। ২০ বা ২১ জুলাই চাঁদের দেখা পেলেই ইদ পালন শুরু। রাজ্যের এক সরকারি মুখপাত্র জানান, এদিন উৎসবের আগে সিনিয়র আধিকারিকদের সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।এরপরই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়।


তবে শুধু উত্তরপ্রদেশ সরকার নয়। ইদ-উল-আজহা (বকরি ইদ) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারও। শুক্রবারই এই গাইডলাইন প্রকাশ করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার।বেশি লোকের জমায়েত রুখতে ইদগাহ বা খোলা জায়গায় নমাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একমাত্র মসজিদে ৫০ শতাংশ লোক নিয়েই নমাজ পড়া যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নমাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মসজিদে মাস্ক ছাড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার।  


অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কোনও নমাজির সর্দি, কাশি হয়ে থাকলে বাড়িতেই তাঁর দুয়া করা উচিত। এ ছাড়াও মসজিদে প্রবেশে ইচ্ছুক নমাজিদের বাড়ি থেকেই প্রার্থনার আসন নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। কোভিডকালে এবার ইদ মিলাপ অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। মুসাফা বা হাত মেলানো ছাড়াও কোলাকুলি থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে নমাজিদের।