নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৩০ বছর বয়সেই কিংবদন্তী হয়ে উঠেছেন। এমনই মত প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংহের। তিনি বিরাট সম্পর্কে বলেছেন, ‘বিরাট যখন খেলা শুরু করে, তখন দারুণ প্রতিশ্রুতিবান ছিল। ও যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে। সেভাবেই ও বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যায়। সেই সময় ওর বয়স অনেক কম ছিল। ওর আর রোহিতের (শর্মা) মধ্যে যে কোনও একজনকে বিশ্বকাপের দলে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছিল। বিরাট সেই সময় নিয়মিতভাবে রান করে যাচ্ছিল। সেই কারণে ও সুযোগ পায়। এখন ও সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে।’


বিরাট সম্পর্কে যুবরাজ আরও বলেছেন, ‘আমি ওকে বড় হতে দেখেছি। আমার সামনে ও অনুশীলন করত। ও-ই বোধহয় সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করত। ও অনুশীলনে প্রচণ্ড শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। ও যখন রান করত, ওকে দেখে মনে হত, ও বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হয়ে উঠতে চায়। ওর মধ্যে সেই ধরনের মানসিকতা ছিল।’


অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। ভারতের সিনিয়র দলে তিনি প্রথম সুযোগ পান ২০ বছর বয়সে। সিনিয়র পর্যায়ে অভিষেকের পর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সব দলের বিরুদ্ধেই রান করে তিনি নজর কেড়ে নেন। এখন যাঁরা ক্রিকেট খেলছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান বিরাটেরই। ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই তাঁর গড় ৫০-এর বেশি। এই নজির অন্য কোনও ক্রিকেটারের নেই। শুধু ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়া বা অধিনায়ক হিসেবে ভারতীয় দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই নয়, ফিটনেসের দিক থেকেও সবার চেয়ে এগিয়ে বিরাট। 


২০০৮ সালে ভারতের সিনিয়র দলের হয়ে বিরাট যখন খেলা শুরু করেন, সেই সময় জীবনের অন্যতম সেরা ফর্মে ছিলেন যুবরাজ। তিনি ২০১১ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে বিরাটও কিংবদন্তী হয়ে উঠেছেন। সামনে থেকে বিরাটের সাফল্য দেখেছেন যুবরাজ। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ও রান করছিল, তারপর ভারতের অধিনায়ক হয়। অনেক সময় অধিনায়কত্বের চাপ নুইয়ে দেয়। কিন্তু অধিনায়ক হওয়ার পর ওর ধারাবাহিকতা আরও ভাল হয়ে যায়। ৩০ বছর বয়সেই ও অনেককিছু অর্জন করে ফেলেছে। লোকজন সাধারণ অবসর নেওয়ার সময় কিংবদন্তী হয়ে ওঠে। কিন্তু বিরাট ৩০ বছরেই কিংবদন্তী হয়ে গিয়েছে। ওকে ক্রিকেটার হিসেবে বড় হয়ে উঠতে দেখে খুব ভাল লেগেছে। ওর সামনে এখনও অনেক সময় আছে। আশা করি ও আরও অনেক সাফল্য পাবে।’