মেরঠ : সকাল সকাল ভয়ঙ্কর দৃশ্য। দোকানের সামনেই লাশ! এ কার দেহ। ছ্যাঁৎ করে ওঠে দোকানদারের বুক ! চোনা-পরিচিত কেউ নয়। খুব ভাল করে দেখে নিশ্চিত হন তিনি। তারপরের ঘটনা আরও ভয়ঙ্কর। কে ফেলে গেল এই দেহ। কেউ কি খুন করল। নাকি দোকানের মালিককে ফাঁসাতেই ....সাত পাঁচ ভেবে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। অভিযোগ, ফুটেজে দেখা যায়, রাতের অন্ধকারে কয়েকজন পুলিশ কর্মী চুপচাপ একটি দোকানের সামনে মৃতদেহটি ফেলে দিচ্ছেন। ক্লিপটি শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন তাঁরা। মুহূর্তে হয়ে যায় ভাইরাল। নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে । অনেকেই লেখেন, " এটা তো সাধারণ মানুষের প্রতি স্থানীয় পুলিশের উদাসীনতা"! পুলিশকে প্রশ্ন করা হতেই মেরঠের এসএসপি ডঃ বিপিন টাডা ব্যবস্থা নেন। সমালোচনার ঝড়ের মুখে, তখনই এল-ব্লক ফাঁড়ির ইনচার্জ জিতেন্দ্রিয় কুমার এবং কনস্টেবল রাজেশকে বরখাস্ত করা হয়। সাসপেন্ড করা হয় হোমগার্ড রোহতাশকেও। টাডা বলেন, এসপি সিটি আয়ুশ বিক্রম সিং একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছেন । যুবকটির এখনও পরিচয় জানা যায়নি।
অভিযোগ, কয়েকজন পুলিশকর্মী (Nauchanadi jurisdiction) বৃহস্পতিবার রাতে এই দেহ ফেলে যান। এল-ব্লক ফাঁড়ির ইনচার্জ জিতেন্দ্র কুমার এবং কনস্টেবল রাজেশকে বরখাস্ত করা হয়েছে এই ঘটনায়। জানা যাচ্ছে, ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার টানাপোড়েন এড়াতেই, তারা মৃতদেহটিকে অন্য পুলিশ থানার এক্তিয়ারে ফেলে দিয়ে যায়। রাত ১:৪০ নাগাদ ঘটে এই ঘটনা। লোহিয়ানগর থানার একটি স্টেশনারি দোকানের বাইরে ফেলে দেওয়া হ দেহটি। ওই দোকানদার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি ভোরে আমার স্টেশনারি দোকানের শাটারের সামনে মৃতদেহটি দেখতে পান। সকালে অন্যান্য দোকানদাররাও জড়ো হন এবং তারপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন সিসিটিভি ফুটেজ দেখেন। তা থেকে জানা যায় যে পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন সেখানে মৃতদেহটি ফেলে দিয়েছে। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করা হয়। স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানানো হয়।