লখনউ: প্রস্তুতি নিয়েই পরীক্ষা দিতে এসেছিল পড়ুয়া (Students)। কিন্তু প্রশ্নপত্র (Question Paper) হাতে পেয়েই চোখ কপালে উঠল তাদের। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশ। কিন্তু কেন?


আজব প্রশ্ন:
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একটি সরকারি স্কুল (Government School)। পঞ্চম শ্রেণির হিন্দির বার্ষিক পরীক্ষায় (annual exam) প্রশ্ন করা হয়েছে গাছের বিপরীতার্থক শব্দ কী? ইংরেজি পরীক্ষাতেও একই অবস্থা। চতুর্ভুজ চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে একটি প্রশ্নে। যদিও অপশনে কোনও ছবিই নেই। ইংরেজি পরীক্ষা (english exam) অঙ্কের প্রশ্ন কীভাবে? তাজ্জব পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রায় এরকমই ঘটনা ভাদোহী জেলায় একটি স্কুলে। সেখানে সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি বার্ষিক পরীক্ষায় প্রশ্ন করা হয়েছে ৬০ এর উল্টো কী হবে? গোটা ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।  


কী বলছে কর্তৃপক্ষ:
সে রাজ্যের স্কুল-শিক্ষার ডিরেক্টর জেনারেল (director general) অনামিকা সিংহ বলেছেন, 'কোভিড ও ভোটের মাঝেই দুই বছর পর আমরা পরীক্ষা নিচ্ছি। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।'


স্টেট কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (State Council of Educational Research and Training)-এর মডেল মেনে প্রশ্নপত্র তৈরি করার কথা। সেখানে এমন কী ভাবে হল , তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষা অনুরাগীরা। উত্তরপ্রদেশের রাজ্য বোর্ডের অধীনে থাকা স্কুলগুলির এই পরীক্ষায় বসেছিল দেড় কোটিরও বেশি পড়ুয়া। প্রশ্নপত্রে ভুল থাকলে পরীক্ষার্থীদের যে সমস্যা হয়, তা তাদের জন্য অত্যন্ত খারাপ বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ সে রাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের একটি বড় অংশ।    


আরও অভিযোগ:
শুধু অদ্ভুত প্রশ্নই নয়, রয়েছে আরও অভিযোগ। একাধিক এলাকায় প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম (shortage) প্রশ্নপত্র পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। অনেক স্কুলে বোর্ডে প্রশ্ন লিখে কাজ চালাতে হয়েছে বলে দাবি। এছাড়া ভুল প্রশ্নের ক্ষেত্রে কীভাবে মূল্যায়ন হবে তারও কোনও নির্দিষ্ট নির্দেশিকা নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষকদের একটি বড় অংশ। 


আরও পড়ুন: বসন্ত উধাও, চৈত্রেই রাজ্যের পাঁচ জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা