লখনউ : মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের দেবারিয়া জেলা। ১৭ বছরের এক কিশোরীকে জিনস প্যান্ট পরার 'অপরাধে' খুনের অভিযোগ উঠল। ওই কিশোরীকে তারই দাদু এবং কাকা খুন করেছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কিশোরীর মৃত্যুর পর তার দেহ ব্রিজ থেকে ফেলে ভাসিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে তারা। ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে মাউয়াদি থানার পুলিশ।
জানা গেছে, লুধিয়ানায় বাবার সঙ্গে থাকত ওই কিশোরী। গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসে জিনস প্যান্ট এবং টপ পরে সে। যা নিয়ে আগে থেকেই কিশোরীর দাদু এবং কাকার বেশ আপত্তি ছিল। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে, জিনস প্যান্ট পরা নিয়ে কিশোরীর আত্মীয়দের মধ্যেও নানারকম আপত্তি ছিল। তাঁরা কিশোরীকে তাঁদের প্রচলিত পোশাক পরার জন্য বলতেন। কিন্তু ওই কিশোরী কারও কথায় কান দিত না।
গত সোমবারও কিশোরীর দাদু এবং কাকা তাকে ফের নিষেধ করে জিনস প্যান্ট পরার জন্য। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের সে ওই পোশাকই পরে। অভিযোগ, তার দাদু এবং কাকা মিলে কিশোরীকে মারধর করে। মারধরের ফলে ওই কিশোরী এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে যে, তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার।
আরও অভিযোগ, কিশোরীর মৃত্যুর পর তার পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহটি ব্রিজ থেকে নিচে ফেলে জলে ভাসিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করে। কিন্তু দেহটি কোনওভাবে আটকে যায় এবং পুলিশ আসা পর্যন্ত সেখানেই থেকে যায়। পুলিশ কিশোরীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর দাদু-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন কিশোরীর মামা। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই পুলিশ কিশোরীর দাদু এবং এক অটো চালককে গ্রেফতার করেছে, যে মৃতদেহ ব্রিজ থেকে ফেলে ভাসিয়ে দেওয়ায় সাহায্য করেছিল। বাকিদেরও খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।