বেরিলি : ঘৃণ্য। ভয়ঙ্কর । মর্মান্তিক। কোনও বিশেষণই বোধ হয় যথেষ্ট নয়। এবার উত্তরপ্রদেশ থেকে নারীনিগ্রহের যে অভিযোগ উঠে আসছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। সোমবার হাফিজগঞ্জে এক বৃদ্ধার অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় নিজের বাড়িতেই।
বয়স ৮৫ র কাছাকাছি। স্বামী মারা গিয়েছেন। সন্তানও গত হয়েছেন। কার্যত এই পৃথিবীতে তিনি ছিলেন নিঃসঙ্গ , একা। সেই বৃদ্ধাকেই ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, নিজের বাড়িতেই ধর্ষিত হন একাকী বৃদ্ধা। ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৫ বছরের এক যুবক। ধর্ষণের পর ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে পুলিশের দাবি। অভিযুক্তকে গ্রেফতাপ করেছে পুলিশ।
মাঝ তিরিশের অভিযুক্তর নাম রাকেশ। তার বাস ওই বৃদ্ধার পাড়াতেই। সিনিয়র পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, স্বামী ও ছেলে মারা যাওয়ার পর নির্যাতিতা একাই থাকতেন। একই পাড়ায় থাকতেন নির্যাতিতার ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন মহিলার পুত্রবধূ।
পুত্রবধূ জানান, সেদিন দুপুর ১ নাগাদ শাশুড়ির বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে দেখেন রাকেশ নামের ওই ব্যক্তি তাঁর শাশুড়িকে ধর্ষণ করছে। তিনি দেখেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। বেগতিক বুঝে চম্পট দেয় অভিযুক্ত । পরিবারের লোকজন সময় নষ্ট না করেই জানায় পুলিশকে। শরীরের ওপর ওরকম পাশবিক নিপীড়ন সহ্য করতে পারেনি বৃদ্ধা। তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, ওই যুবক মত্ত অবস্থায় ছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।