আগ্রা : 'প্রেমে পড়েছিলেন' সহকর্মীর। আর তার খেসারত চোকাতে হল সবার সামনে বেইজ্জত হয়ে। সম্প্রতি দুই পুলিশের বিয়ের বাইরে প্রেম নিয়ে পারিবারিক অশান্তির একটি ভিডিও হয়েছে ভাইরাল। নেটিজেনরা কমেন্ট করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে ভিডিওটি। কিন্তু নেপথ্য কাহিনিটি অজানা অনেকেরই। 


 ঘটনাটি রাকাবগঞ্জ থানা এলাকার।  দুই ইন্সপেকটরের 'বিবাহ বহির্ভূত প্রেমে'র সম্পর্ক একেবারে হাতে-নাতে ধরে ফেলেন পুলিশকর্মীর স্ত্রী। আর তারপরই পুলিশের আবাসিক চত্বরের মধ্যেই বেঁধে যায় ধুন্ধুমার। সেই ভিডিওই এখন ভাইরাল হয়ে ঘুরছে সমাজ মাধ্যমে। 


হিন্দুস্তান টাইমস-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, এটি শনিবার সন্ধেবেলার ঘটনা।  মিরাটের একজন পুলিশ ইন্সপেকটরের স্ত্রী, তাঁর পরিবারের লোকজনকে নিয়ে সদলবলে হাজির হন পুলিশ আবাসনে। সটান চলে যান রাকাবগঞ্জ থানার মহিলা ইনস্পেকটরের বাড়িতে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখতে পান তাঁর স্বামীকে। তিনিও আবার একজন ইন্সপেকটর। দুজনকে নাকি বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থাতে ধরে ফেলেন তিনি। তারপর আর দেখে কে ! রুদ্রমূর্তি ধরেন পুলিশ-পত্নী। পুলিশের আবাসনের মধ্যেই হিড়হিড় করে টেনে বের করে আনেন তাঁদের। তারপর প্রকাশ্যেই মারতে থাকেন চড় - থাপ্পড়। মহিলা তাঁর স্বামীর পোশাক পর্যন্ত ছিঁড়ে দেন।  এমন নজিরবিহীন দৃশ্য দেখে বেবাক আবাসনের বাকিরা। উপস্থিত অন্যান্য পুলিশকর্মীরাও কী করবেন ভিবি পাচ্ছিলেন না। পারিবারিক ঘটনা দেখে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এরই মধ্যে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে যান  এসিপি (সদর) সুকন্যা শর্মা । তিনিই প্রথম হস্তক্ষেপ করেন। 


শনিবারের যখন এমন নাটকীয় পরিস্থিতির তৈরি হয়, তখন  পুলিশকর্মীই হস্তক্ষেপ করেননি  বরং বেশিরভাগই তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও রেকর্ড করতে ব্যস্ত ছিল। ঘটনার পর এই ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়ে যায়।


এরই মধ্যে পুরুষ ইন্সপেকটরের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন মহিলা ইন্সপেকটর।  আগ্রা কমিশনারেটের রাকাবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা ইন্সপেকটর। তিনি তাঁর পুরুষ সহকর্মীর পরিবারের বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাঁধানো, বেআইনি আইনি জমায়েত করা, আঘাত করা, বাড়িতে অনুপ্রবেশ, শান্তি ভঙ্গ ইত্যাদি অভিযোগে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)র বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছেন বলে দাবি হিন্দুস্তান টাইমসের একটি রিপোর্টে।


এএসপি জানিয়েছেন, মিরাটের পুলিশ ইন্সপেক্টরের স্ত্রী, তার ভাই এবং তার শ্যালক সহ তিনজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও  ওই মহিলা ইন্সপেকটর সহ আরও দুই কনস্টেবলকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। ব্য়বস্থা নেওয়া হয়েছে  ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও সাত পুলিশকর্মীকে। পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয়  কাজ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এই ব্যবস্থা।  ঘটনায় যুক্ত পুরুষ ইন্সপেকটর সম্পর্কেও রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। 


জানা গিয়েছে,  রাকাবগঞ্জ থানার ইনচার্জ 'প্রেমে পড়েন' মুজাফ্ফরনগরের স্টেশন ইনচার্জের। তারা দুজনেই বিবাহিত ছিলেন। তাই প্রেম চলত গোপনেই। সেই খবর পেয়ে যেন পুরুষ পুলিশকর্মীর বাড়ির লোকজন। তারপরই ওই পুলিশকর্মীর স্ত্রী বাড়ির লোকজন নিয়ে চড়াও হন মহিলা পুলিশকর্মীর আবাসনে। তারপর যা ঘটে , তা এখন ভাইরাল।