কলকাতা: এখনও জ্বলছে বাংলাদেশ। সংরক্ষণ নিয়ে সে দেশের শীর্ষ আদালতের রায়ের পরেও শান্ত হয়নি আন্দোলন। বাংলাদেশে এখনও পথে নেমে চলছে বিক্ষোভ, বাড়ছে মৃত্যু। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে থাকা সব ভারতীয়কে অত্যন্ত সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। সম্প্রতি যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাতে আপাতত কোনও নাগরিককে বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আজ ঢাকা অভিযানের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনই ফের রক্ত ঝরল বাংলাদেশে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শাসকদল আওয়ামি লিগের সমর্থকদের সংঘর্ষে ১৪ জন পুলিশ-সহ শতাধিক মানুষের মৃত্য়ু হয়েছে। আহতের সংখ্যাও শতাধিক। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের কার্ফু জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয়দের বাংলাদেশে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলন () চলছে। এই অবস্থায় ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে এখনই যেন ভারতের কোনও নাগরিক বাংলাদেশে না যায়। যে ভারতীয় নাগরিকরা এখন বাংলাদেশে রয়েছেন তাঁদের অতি সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। খুব প্রয়োজন না হলে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলার কথা বলা হয়েছে। রবিবার প্রবল হিংসার ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে। বারবার সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বাংলাদেশের নানা জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। আর এই সংঘর্ষের জেরে শুধু রবিবারই বাংলাদেশে মারা গিয়েছে প্রায় ১০০ ছুঁইছুঁই। তার মধ্যে একাধিক পুলিশকর্মী রয়েছেন।
বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ অশান্ত। প্রথমে সংরক্ষণের বিরোধিতা করে আন্দোলন (bangladesh protest) শুরু করেছিলেন পড়ুয়ারা। প্রথম আন্দোলন শান্তিপূর্ণ থাকলেও পরে ধীরে ধীরে তা হিংসাত্মক হয়ে ওঠে। টানা সংঘর্ষ রয়েছে আন্দোলনকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে। দিনের পর দিন দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে বহু। এরই মধ্যে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ নিয়ে রায় দিয়েছে। নতুন করে ধার্য হয়েছে সংরক্ষণের হিসেব। তারপরেও আন্দোলন কমেনি। এবার শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামি লীগের দাবি এই আন্দোলনে হিংসার ঘটনা ঘটিয়েছে বিরোধীরা। তাদের নিশানা জামাত-বিএনপি। পাল্টা সরকারের দিকে হিংসার ও দমনের মাধ্যমে আন্দোলন বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মাটিতে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও হিংসা-আন্দোলনে জেরবার বাংলাদেশ। ফের শুরু মৃত্যু মিছিল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০০ দিনে সোনার সময়! এই ৫ রাশির কপালে সাফল্যের বন্যা