নয়া আইনে এটাই প্রথম গ্রেফতারি বলে জানিয়েছেন বেরিলির ডেপুটি পুলিশ ইনস্পেক্টর জেনারেল রাজেশ কুমার পান্ডে। তিনি বলেছেন, ওয়েইস আহমেদ নামে অভিযুক্তকে বুধবার বাহেদি এলাকার রিচ্চা রেলওয়ে গেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে স্থানীয় আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ এসেছে।
আহমেদের বিরুদ্ধে গত ২৮ নভেম্বর বেরিলির দেওয়ারনিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। নয়া আইনে প্রথম দায়ের হওয়া মামলা এটিই। দেওয়ারনিয়ার শরিফ নগর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক টিকারামের অভিযোগক্রমে মামলাটি দায়ের করা হয় ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ধর্ম বদল রোধ আইনের নানা ধারায়।
পুলিশ বলেছে. অভিযোগকারী টিকারামের দাবি, তারই গ্রামের বাসিন্দা আহমেদ তাঁর মেয়েকে প্রলোভনের মাধ্যমে ধর্ম বদলানোর চেষ্টা করে। দ্বাদশ শ্রেণিতে টিকারামের মেয়ে ও আহমেদ একসঙ্গে পড়াশোনা করত। ৩ বছর আগে সে তাঁর মেয়েকে ধর্ম বদলে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু মেয়ে তা প্রত্যাখ্যান করলে তাকে অপহরণের হুমকি দেয় সে। জুন মাসে আরেকজনের সঙ্গে বিয়ে হয় টিকারামের মেয়ের। কিন্তু তারপরও আহমেদ তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা চালিয়ে যায়।
উত্তরপ্রদেশ বেআইনি ধর্মবদল নিষিদ্ধকরণ অর্ডিন্যান্স, ২০২০ অনুসারে শুধুমাত্র বিয়ের জন্যই কোনও মহিলার ধর্মবদল করানো হয়, তবে সেই বিয়ে বাতিল বলে গণ্য করা হবে। আর যারা বিয়ের পর ধর্ম বদলাতে ইচ্ছুক, তাদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেজন্য আবেদন করে অনুমতি চাইতে হবে।
কেবলমাত্র বিয়ের জন্যই ধর্ম বদল রোধ করতে তৈরি হওয়া আইনের খসড়ায় যোগী সরকার অনুমোদন দেওয়ার চারদিন বাদে এই আইন চালু হয়।