বীরভূম: বিধানসভা ভোটের আগে দলবদলের পালা চলছেই, তবে বীরভূমের দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা যা করলেন, তা হার মানাবে অনেককে! সকালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে রাতেই ঘরওয়াপসি।


বৃহস্পতিবার সকাল তখন সাড়ে ১১টা। দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রফিকা বিবি-সহ প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। জেলা বিজেপির সাধারন সম্পাদকের কাছ থেকে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা।


দলবদলের সময়, দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন রফিকা। বলেন, প্রচুর দুর্নীতি চলছে, একটি ত্রিপল চাইলে পাওয়া যায় না, তাই দলবদল।


ঠিক ১০ ঘণ্টা পর। বৃহস্পতিবার রাত তখন সাড়ে ৯টা। হঠাৎই দুবরাজপুরের তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজির বিজেপিতে যোগদানকারী নেত্রী রফিকা বিবি।


শুধু তাই নয়, বিজেপি ছেড়ে আবারও তৃণমূলে ফিরে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। এবার দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ির কাছ থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিলেন রফিকা।


সেইসঙ্গে বদলে গেল বয়ানও! এবার বললেন, আমি বিজেপির প্ররোচনায় পা দিয়েছিলাম, আমার দলেই আছি। এপ্রসঙ্গে, দুবরাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্র বলেন, ওর বাবা তৃণমূলের ফাউন্ডার, জন্মলগ্ন থেকে আছেন, পরিবার আমাদের সঙ্গেই আছে।


তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা ভয় দেখানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। বীরভূম জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, তৃণমূল হুমকি দিয়ে পুলিশের ভয় দেখিয়ে আবার তৃণমূলে যোগদান করালো। আসলে এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি। এর আগেও দেখেছি কেউ আজকে মারা গেছে সে বলেছে আমাদেরকে তৃণমূল হত্যা করেছে। তার কিছুদিন পরে কোন তৃণমূল কার্যালয়ে কোন নেতার কোলে বসে তাদের বলতে হয়েছে না তৃনমূল মারেনি।


যদিও তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ছাড়া, বাকি যাঁরা দলবদল করেছিলেন তাঁরা এখনও বিজেপিতেই রয়েছেন।