হাথরস : বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন সৎসঙ্গে। আর এসে যা দেখলেন তাতে তিনি বাকরুদ্ধ ! ধর্মীয় অনুষ্ঠানস্থলে পড়ে ১৬ বছরের মেয়ে ও স্ত্রীর মৃতদেহ ! খোঁজ মিলছে না মায়ের। এক লহমায় সর্বহারা বিনোদ।


হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্টের ঘটনায় যেসব মানুষ স্বজনহারা হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিনোদও। সংবাদ সংস্থা ANI-কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি বাইরে ছিলাম। তাই জানতামও না যে, তিন জনেই সৎসঙ্গে গিয়েছেন। একজন আমাকে জানান যে সৎসঙ্গে পদপিষ্ট হয়েছেন অনেকে। খবর পেয়ে আমি সেখানে পৌঁছই। গিয়ে দেখি, আমার ১৬ বছরের মেয়ে ও স্ত্রীর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। আর, মায়ের তো কোনও খোঁজও পাইনি। আমার আর কেউই রইল না। সবকিছু চলে গেল।"


হাথরসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া অপর এক ১৬ বছরের কিশোরী রোশনি। তার মা কমলা বলছেন, "২০ বছর ধরে বাবার সৎসঙ্গে আসছি। আজ ১৬ বছরের মেয়েকে নিয়ে এসেছিলাম। দুপুর ২টো নাগাদ পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। আমি, আর আমার মেয়ে অল্প আঘাত পাই। ও ঠিকই ছিল। কিন্তু, হাসপাতালে পৌঁছানোর পর অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে ডাক্তার ওকে মৃত ঘোষণা করেন।" 


মঙ্গলবার হাথরসের সৎসঙ্গে পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটে। সেটি চালাতেন 'ভোলে বাবা।' দুর্ঘটনার পর তাঁর খোঁজে মৈনপুর জেলার রামকুঠির চ্য়ারিটেবল ট্রাস্টে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ডেপুটি পুলিশ সুপার সুনীল কুমার জানান, ক্যাম্পাসের মধ্যে বাবাজিকে পাওয়া যায়নি। উনি এখানে নেই।


এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার পর উত্তরপ্রদেশ সরকার মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। এর পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খল তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।


এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হারথরসে পদপিষ্টের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন। এর পাশাপাশি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন। দুর্ঘটনা নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথাও বলেন।


পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, "ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সমস্ত রকমের সাহায্যের কাজে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। যাঁরা তাঁদের কাছের মানুষকে হারালেন তাঁদের সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।