কলকাতা: চিনে করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের ৩ থেকে ১০ শতাংশ ফের করোনা পজিটিভ।   হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার পর পরীক্ষা করে তাঁদের শরীরে করোনার জীবাণু ধরা পড়েছে।


চিনের ইউহান ছিল এই ভাইরাসের কেন্দ্রবিন্দু। এখানকার টোংজি হাসপাতালের চিকিৎসকরা খুব কাছ থেকে দেখেছেন করোনা জীবাণুর চরিত্র বদল। তাঁরা দেশের সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, ফের করোনা আক্রান্ত এই রোগীরা যে সংক্রমণ ছড়াচ্ছেন তার কোনও প্রমাণ এখনও তাঁদের কাছে নেই। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষার ফল ও ল্যাব টেস্ট সে কথা বলছে। কিন্তু সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও করোনা সংক্রমণের কারণ তাঁরা খুঁজে পাচ্ছেন না।

চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,০০০ পেরিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ৩,২০০-এর বেশি। সংক্রমিত ৯০ শতাংশের বেশি রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ৪,৩০০-র মত রোগীর এখনও চিকিৎসা চলছে। টোংজি হাসপাতাল জানিয়েছে, নিউক্লিয়ার অ্যাসিড টেস্টে দেখা যাচ্ছে, ১৪৭ জন রোগীর মধ্যে ৫ জন- অর্থাৎ ৩ থেকে ৫ শতাংশ সেরে ওঠা রোগী ফের করোনা সংক্রমিত হয়েছেন।  তাঁদের শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না, তাঁদের সংস্পর্শে থাকা কারও শরীরে এই রোগ ছড়ায়নি এখনও।

গোটা বিশ্বের করোনা গবেষকরা এখন বোঝার চেষ্টা করছেন, করোনা রোগীরা সেরে ওঠার পর ফের তাঁদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা আছে, না তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আগামীদিনে আটকে দেবে করোনাকে। টোংজি হাসপাতালের চিকিৎসকরাই প্রথম কোভিড-১৯  সংক্রমণ চিহ্নিত করেন। অন্য দেশের তুলনায় চিনে রোগীরা অনেক বেশি সংখ্যায় সেরে ওঠায় তাঁদের গবেষণা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। হাসপাতালের প্রেসিডেন্ট ওয়াং এই বলেছেন, হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার ১ মাস পর ৮০-৯০% রোগীর শরীরে করোনা সংক্রমণ মেলেনি। যদিও তাঁর মতে, খুব অল্প কয়েকজনের মধ্যে পরীক্ষা চলেছে, তাই তাঁদের অনুসন্ধান চূড়ান্ত কিনা তা বোঝার সময় এখনও হয়ে ওঠেনি।

ইউহানের অন্যান্য হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের ৫-১০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠার পরেও ফের করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।