নয়াদিল্লি: একই ব্যক্তি দু-রকম ভ্যাকসিন নিলেও গুরুতর কোনও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। এমনই ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে, কোভিশিল্ড পাওয়া ২০ জন গ্রামবাসীকে দ্বিতীয় ডোজে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন।
২০ জন রাজ্যবাসীকে দু-বার দু রকমের ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়ে, কয়েকদিন আগেই চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের স্বাস্থ্য প্রশাসন। আর এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল, একই ব্যক্তি দু’রকমের ভ্যাকসিন নিলেও, না কি কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২০ জনকে প্রথম ডোজ হিসাবে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর চরম গাফিলতির পরিচয় দিয়ে, তাদেরই দ্বিতীয় ডোজ হিসাবে দেওয়া হয় কোভ্যাকসিন। এরপর এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।
নেপাল সীমান্ত ঘেঁষা সিদ্ধার্থনগর জেলার একটি গ্রামের অন্তত ২০ জন বাসিন্দাকে এপ্রিল মাসের গোড়ায় প্রথম বার কোভিশিল্ড দেওয়া হলেও, দ্বিতীয় বার তাঁদের কোভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জনা কুড়ি গ্রামবাসী। এমনকি ট্রায়ালে এই পদ্ধতি প্রয়োগের কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানায় কেন্দ্র।
আর উত্তরপ্রদেশের এই টিকা-কাণ্ড নিয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নীতি আয়োগের সদস্য, ভি কে পাল জানিয়েছেন 'বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। আরও বিজ্ঞান ভিত্তিক অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে। তবে দু’বার দু’রকম টিকা দেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গুরুতর কোনও শারীরিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।'
উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য, ভুলবশত যাঁদের দু’রকম ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকদের একটি দল তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করেছে। দু’রকম ভ্যাকসিন নেওয়া সকলেই সুস্থ আছেন। কারও শরীরে কোনও সমস্যা নেই।
একদিকে একই ব্যক্তিকে দু’রকমের ভ্যাকসিন যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের শোকজ করা হচ্ছে, আবার কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, দু’রকমের ভ্যাকসিন দিলেও, না কি চিন্তার কিছু নেই! সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি দিনে দিনে বাড়ছে।