জৌনপুর (উত্তরপ্রদেশ) : আইএএস, আইপিএস বা আইএফএস। একপ্রকার স্বপ্নের কেরিয়ার। এই পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য অধ্যাবসায়, মেধার পাশাপাশি প্রয়োজন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দেওয়ার উপযুক্ত পরিকাঠামো। যা অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় কার্যত দুর্লভ। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয়, উত্তরপ্রদেশে এমন গ্রাম রয়েছে যেখান থেকে একের পর এক আইএএস, আইপিএস ও আইএফএস অফিসার বেরিয়েছেন। 


কথা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর জেলার ছোট্ট গ্রাম মাধবপট্টির। এই গ্রামটি এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে যা দেশের প্রতিটি গ্রামের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। 


এই গ্রাম এখনও পর্যন্ত ৫০-এর বেশি আইএএস, আইপিএস, আইএফএস ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদাধিকারী দিয়েছে। অবাক করার বিষয়, ৪ হাজার বাসিন্দার এই গ্রাম থেকে এখনও পর্যন্ত ৪২ জন শুধু আইএএস অফিসারই বেরিয়েছেন।


গ্রামে রয়েছে এমন একটা পরিবারও :


এই গ্রামেরই বাসিন্দা ঠাকুর সূর্যবলী সিংহ এমএ ও এলএলবি-তে এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শীর্ষ স্থান অধিকার করেছিলেন। তাঁর ভাই ভগবান দিন সিংহর সঙ্গে ১৩ জন আইএএস অফিসার হন। এর মধ্য়ে ১৯৬০ সালে বিনয় কুমার সিংহ দেশের সবথেকে বড় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ১৩ তম স্থান দখল করেন। পরে তিনি বিহারের মুখ্যসচিব হয়ে অবসর নেন।   


অজয় কুমার সিং ও ছত্রসাল সিংহ ১৯৬১ সালে-র আইএএস নির্বাচিত হন। ভগবান দিন সিংয়ের ছেলে ইন্দু প্রকাশ সিংহ ১৯৫১ সালে আইএফএস নির্বাচিত হন। তিনি ১৬টি দেশে ভারতীয় দূত হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর ভাই বিদ্যাপ্রকাশ সিংহ ছিলেন ১৯৫৩-র আইএএস। 


একই পরিবারের মানসী কুমার সিংহ পঞ্জাব ক্যাডারের আইএএস । তাঁর ছোট ভাই যশস্বী সিংহ উত্তরাখণ্ড ক্যাডারের আইএএস। যশস্বী সিংহর পরিবারের ১৩ জন আইএএস ও ৫০ জন গেজেটেড অফিসার আছেন।   


প্রসঙ্গত, এই গ্রামের প্রায় প্রতিটি সন্তানই অফিসার হতে চায়। তাদের প্রবণতাও সেরকম থাকে। গ্রামবাসী বলেন যে, এই গ্রামের ছেলে-মেয়েরা জেলাশাসক হতে চায়।