অভিজিৎ চৌধুরী, মালদা : জলে ডুবেছে কল ও ট্যাপ। রাস্তায় জল জমে হয়েছে থই‌থই। বাড়িতে ঢুকছে পচা ও নোংরা জল। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বাড়ছে মশামাছির উপদ্রবও। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ জানিয়েও হচ্ছে না সমস্যার সমাধান। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তুলসীহাটা নয়াটোল এলাকার বাসিন্দারা। কবে হবে জল নিকাশির ব্যবস্থা তার অপেক্ষায় এলাকাবাসী।


প্রায় তিনশো মিটার পাকা রাস্তা জলের তলায়। বর্ষা শুরু হতেই ভোগান্তি বেড়েছে নিত্যযাত্রী ও গাড়ি চালক থেকে শুরু করে এলাকাবাসীর। বয়স্ক মহিলা ও পুরুষরা হাঁটু জলে চলতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন। এই রাস্তা ধরে যেতে হয় তুলসীহাটা দৈনিক বাজার, তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েত, স্কুল, ব্যাঙ্ক ও রেশন দোকানে। জল বাড়তেই গাড়ি উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা জর্জিস আলি এই প্রসঙ্গে জানান, দীর্ঘ পনেরো বছর ধরে এই সমস্যায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যকে জানিয়েও হচ্ছে না সমাধান।


স্থানীয় বাসিন্দা তহমিনা বিবি জানান, বর্ষা শুরু হতেই তাঁদেরকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। রাস্তায় জল ছাড়া স্থল দেখতে পান না বলে অনুযোগ তাঁর। এলাকাবাসীর মতে, ভোট শেষ হতেই নেতাদের আর গ্রামে দেখা যায় না।


তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান আব্বাস আলি এই প্রসঙ্গে বলেন, 'এলাকাবাসীর কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এলাকায় গিয়ে পরিদর্শনও করে এসেছি।  আপাতত এখন পঞ্চায়েত থেকে পাম্প সেট লাগিয়ে জল বের করার কাজ চলছে। জল নিকাশের জন্য হাই ড্রেনের প্রয়োজন। ড্রেন নির্মাণের জন্য যথেষ্ট টাকার প্রয়োজন, যা পঞ্চায়েত থেকে ব্যবস্থা করা সম্ভব না। জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরীকে জানিয়েছি। আশা করি, শীঘ্রই জল নিকাশি ড্রেনের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।'


জেলা পরিষদের সদস্য সন্তোষ চৌধুরী বলেন, 'বছর দুয়েক আগে জেলা পরিষদ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পাকা করা হয়েছে। জল নিকাশের কোনও ব্যবস্থা না থাকায় জল জমে এলাকাবাসীর সমস্যা হচ্ছে। জল নিকাশি হাইড্রেনের জন্য জেলা পরিষদকে জানানো হয়েছে। প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দও হয়েছে।' দুই মাসের মধ্যেই ড্রেনের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।