নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। দৈনিক সংক্রমণ কমলেও এখনও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আর এই পরিস্থিতি থেকে এবার ‘করোনা দেবী’ র মন্দির প্রতিষ্ঠা করলেন উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড় অঞ্চলের বাসিন্দারা। জানা গিয়েছে প্রতাপগড়ের শুক্লাপুর গ্রামে একটি নিম গাছের তলায় মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই মন্দিরে পুজো দিলে করোনামুক্ত পৃথিবী হবে।


ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা মাতা বলে পুজো করে হচ্ছে একটি মূর্তি। তার মুখে রয়েছে সবুজ মাস্ক। স্থানীয় সূত্রে খবর, গ্রামবাসীরা টাকা জমিয়ে এই মন্দির তৈরি করেছেন। এক গ্রামবাসী সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে এই বিশ্বাস নিয়ে মন্দির স্থাপন করেছিলেন যে দেবতার কাছে প্রার্থনা করলে অবশ্যই মহামারী কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। এদিকে করোনা আবহে প্রতিদিনই ভিড় জমছে মন্দিরের সামনে। পুজো দেওয়া থেকে প্রসাদ বিতরণের ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না করোনা বিধি।


এই মন্দিরের ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, কটিন পরিস্থিতি থেকে বা রোগ মুক্তির জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা ভারতের ঐতিহ্য। অনেকে আবার কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রসাদ বিতরণের বদলে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। আবার অনেকের মতে, মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে করোনাবিধি মানা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর দিতে হবে।


গত মাসে শতাধিক মহিলা একসঙ্গে জড়ো হয়ে করোনা মাতার পুজো করেন উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর গ্রামে। পুজোর জন্য জড়ো হওয়া মহিলারা দাবি করেন, করোনা মাতা প্রচণ্ড রাগ করার জন্যই দেশজুড়ে এভাবে বেড়ে চলেছে কোভিডের জেরে মৃত্যু, তাই তাকে শান্ত করার লক্ষ্যেই তাঁদের পুজো। শারীরিক দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করেই যেখানে হাজির শতাধিক মহিলা। এই পুজো সারার পর তাদের আরও দাবি, একদিন নয় এভাবে টানা ২১ দিন ধরে করোনা মাতার পুজো করতে হবে তাদের, তবেই 'করোনা মাতা' রুদ্ররূপ ত্যাগ করে শান্ত হবেন। শুধু কুশিনগরই নয় করোনা মাতার পুজোর এই আয়োজনে সামিল হয়েছিলেন বারাণসী থেকে আসা মহিলারাও। উল্লেখ্য তার আগে করোনা মাতার মন্দির তৈরি হয়েছিল তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে।