লখনউ: গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের দলবলের সঙ্গে গুলির লড়াইতে শহিদ হয়েছেন দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র। বাবার অস্থিভস্ম গঙ্গায় বিসর্জন করে এসে বৈষ্ণবী শপথ করেছে, নিজের সারা জীবনের স্বপ্ন পরিত্যাগ করবে সে। ডাক্তার হবে সে, পুলিশ অফিসার হবে। ঠিক বাবার মত।

কানপুরের বিকরু গ্রামে গ্যাংস্টার বিকাশ দুবের পোষা গুণ্ডাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শুক্রবার উত্তর প্রদেশ পুলিশের যে ৮ কর্মী শহিদ হয়েছেন, তাঁদের একজন ডেপুটি পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র কুমার মিশ্র। তাঁর বড় মেয়ে, ২১ বছরের বৈষ্ণবী বরাবর চেয়েছিল চিকিৎসক হতে। কিন্তু এবার বিএসসি ফাইনাল ইয়ারের এই ছাত্রী ঠিক করেছে, চিকিৎসক নয়, সে পুলিশ হবে। বিকাশ দুবের মত অপরাধীদের দেখানে পাঠাবে যেখানে তাদের থাকার কথা। ছোট বোন ১৮ বছরের বৈশার্দী পড়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে। সে সিভিল সার্ভিসে যেতে চায়। দুই বোন এক সঙ্গে পূরণ করতে চায়, তাদের জন্য বাবার দেখা স্বপ্নগুলো।

কিন্তু ক্রোধ আর ক্ষোভের পাশাপাশি এই ৮ পুলিশ কর্মীর মৃত্যু নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নও ঘুরছে। কারা বিকাশ দুবের কাছে খবর পৌঁছে দিয়েছিল, যে দেবেন্দ্র তাকে ধরতে আসছেন? পুলিশি অভিযানের সময় গ্রামের বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল কেন? দেবেন্দ্রর পরিবার জানাচ্ছে, তিনি একবার তাঁর এক অধস্তন অফিসারকে শৃঙ্খলাহীনতা সহ বেশ কিছু বেনিয়মে অভিযুক্ত করেছিলেন। বিনয় তেওয়ারি নামে চৌবেপুর থানার ওই এসও যেখানে এখন মোতায়েন, সেখানেই বিকরু গ্রাম। তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, বিকাশ দুবের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কানপুরের প্রাক্তন এসএসপি ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের বর্তমান ডিআইজি অনন্ত দেও-ও জানিয়েছেন, দেবেন্দ্র বিনয় তেওয়ারির আচরণ নিয়ে আগে অভিযোগ করেন। কিন্তু তাঁর মতে, সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে যে কোনও পেশাতেই এমন মতান্তর হয়। তার সঙ্গে ৮ পুলিশ কর্মীর মৃত্যুর কোনও যোগসাজস আছে বলে তিনি মনে করেন না।

কিন্তু দেবেন্দ্রর পরিবার ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।