নয়াদিল্লি: একেই বলে বোধ হয় ইচ্ছাশক্তি! বয়স মাত্র ১৫। বাড়ি প্রত্যন্ত গ্রামে। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। আরও নানারকম প্রতিবন্ধকতা পদে পদে। তবু হার মানেনি এই মেয়ে।
মধ্যপ্রদেশের রোশনি ভাদোরিয়া এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা। সাইকেল চালিয়ে রোজ এতটা রাস্তা পেরিয়ে পড়াশুনা করতে যেত সে। অবশেষে ফল এল হাতেনাতে। দশমের বোর্ড পরীক্ষায় তার প্রাপ্তি ৯৮.৭৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়, রাজ্যের মেধা তালিকায় অষ্টম স্থান অর্জন করেছে সে।
এই সাফল্যে রীতিমতো খুশি রোশনি। এবার উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী সে। যত প্রতিবন্ধকতাই আসুক, এবারও সে কোমর বেঁধে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। রোশনির বাবাও চান, মেয়ের পড়াশুনা না থামুক। তাই এবার তার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করার কথা ভাবছে পরিবার।
মধ্যপ্রদেশের চম্বলের কাছে আনজল গ্রামের বাসিন্দা রোশনি ক্লাস ৮ পর্যন্ত অন্য স্কুলেই পড়ত। তখন স্কুল অবধি বাস পরিষেবা ছিল। এরপর মেহগাঁওর এক সরকারি স্কুলে ভর্তি হয় সে। কিন্তু ওই রুটে রোশনির গ্রাম থেকে কোনও বাস বা গাড়ি চলে না। তাই টানা ২ বছর সাইকেল চালিয়েই প্রতিদিন ২৪ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হত তাকে।
রোশনির বাবা পেশায় কৃষক। আরও দুই ছেলে আছে তাঁর। মেয়ের এত কষ্ট করে পাওয়া সাফল্যে খুবই আনন্দিত বাবা।
সাফল্যের স্বাদ পেয়ে কতটা খুশি রোশনি?
"বছরে প্রায় ৬0-৭০ দিন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে গেছি। বাবাও মাঝে মাঝে মোটর সাইকেলে স্কুলে পৌঁছে দিতেন। বাড়ি ফিরে আবার ৭-৮ ঘণ্টা পড়তাম। "
ভবিষ্যতে কী হতে চাও?
কষ্টসহিষ্ণু মেধাবী রোশনির উত্তর, আইএএস হতে চাই। স্কুল কর্তৃপক্ষও আপ্লুত ছাত্রীর কৃতিত্বে।