নয়াদিল্লি: ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে এবার পাকিস্তানে ভূয়সী প্রশংসা করল আমেরিকা। সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে ‘অনন্য সহযোগী’ বলে উল্লেখ করলেন United States Central Command-এর কম্য়ান্ডার মাইকেল কুরিলা। আমেরিকার কংগ্রেসের সামনে হাজির হয়ে এমন দাবি করলেন তিনি। (India-US Relations)

বৈশ্বিক সন্ত্রাসদমনে পাকিস্তানকে সহযোগী বলে উল্লেখ করে কমান্ডার মাইকেল বলেন, “এই মুহূর্তে ওরা (পাকিস্তান) সন্ত্রাসদমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সন্ত্রাসদমনের দুনিয়া অনন্যসাধারণ সহযোগী থেকেছে ওরা। পাকিস্তানের সহযোগিতাতেই ISIS-Khorasanকে নিশানা করা গিয়েছে, তাদের নিকেশ করা হিয়েছে। ওদের সহযোগিতা পেয়েছি আমরা, গোপন তথ্য় পেয়েছি। ISIS-Khorasan সংগঠনের কমপক্ষে কুখ্য়াত পাঁচ জনকে ওরা বন্দি করেছে।” (General Michael Kurilla)

ISIS-Khorasan জঙ্গি সংগঠনের যে কুখ্যাত পাঁচজনকে বন্দি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে মহম্মদ শরিফুল্লা ওরফে জাফরের কথা জানিয়েছেন কম্যান্ডার মাইকেল।  জাফর ২০২১ সালে কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ওই বিস্ফোরণে আমেরিকার ১৩ জন সৈনিক মারা যান। মৃত্যু হয় ১৬০ জন নিরীহ আফগান নাগরিকের। জাফর হওয়ার আগে সবার আগে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির তাঁকে ফোন করেন বলেও জানিয়েছেন কম্যান্ডার মাইকেল। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে ISIS-Khorasan সংগঠনের বিরুদ্ধে মুনির একাধিক অভিযান চালিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসের ভুক্তভোগী বলে জানিয়েছন কম্যান্ডার মাইকেল। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালের শুরু থেকে পাকিস্তানে ১০০০-এর বেশি জঙ্গি হামলা হয়েছে। ৭০০ সেনাকর্মী মারা গিয়েছেন তাঁদের, মারা গিয়েছেন ২৫০০ নিরীহ নাগরিক। কম্যান্ডার মাইকেলের এই মন্তব্যে দিল্লির অস্বস্তি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ পহেলগাঁও হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে ভারত। যেভাবে বরাবর পাকিস্তান সন্ত্রাসে মদত দিয়ে আসছে, তা নিয়ে একাধিক দেশে পৌঁছে গিয়েছেন ভারতের প্রতিনিধিরা। 

তবে পাকিস্তানের প্রশংসা করলেও, ভারতের সঙ্গেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার পক্ষে সওয়াল করেন কম্য়ান্ডার মাইকেল। তিনি বলেন, “ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা প্রয়োজন আমাদের। হয় ভারত, নয়ত পাকিস্তান, এই তত্ত্বে বিশ্বাস করি না আমি। ইতিবাচক বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে আমাদের।”