নর্থ ক্যারোলিনা: আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসকে বেনজির আক্রমণ করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মতে, হ্যারিস আমেরিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হলে তা হবে দেশকে অপমান করা। একইসঙ্গে ট্রাম্পের দাবি, হ্যারিসকে ’কেউ পছন্দ করেন না‘।
হ্যারিস বরাবরই ট্রাম্পের তীব্র বিরোধী বলে পরিচিত। তিনি ডেমোক্র্যাট শিবিরের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কার্যত তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। গত সোমবার লেবার ডে উপলক্ষে সাংবাদিক বৈঠকে হ্যারিসকে এক হাত নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গতকাল নর্থ ক্যারোলিনার এক সভায় তিনি বলেন, ’’ওঁকে (হ্যারিস) মানুষ পছন্দ করে না, কেউ-ই পছন্দ করেন না। উনি কখনও দেশের প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। যদি হন, তা হলে তা হবে দেশকে অপমান করা।‘‘ এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ’’প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে অবিলম্বে হ্যারিসের সরে যাওয়া উচিত। ক্যালিফর্নিয়ায় জিততে হবে বলেই ওঁনাকে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী করা হয়েছে।‘‘
প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তাঁকেও নিশানা করেন ট্রাম্প। চিনের প্রতি বাইডেনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ’’সব সময় মনে রাখবেন, বাইডেন যদি জয়ী হন, তা হলে চিন জিতে যাবে। অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশ্বে আমাদের মহাশক্তিধর হতে হবে। কিন্তু চিন আমাদের সামনে মহামারী নিয়ে এসেছে। তার জেরে আমাদের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। এখন আবার তা ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে।‘‘
কড়া আক্রমণ শানিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ’’এটা খুবই পরিষ্কার, চিন এবং দাঙ্গাকারীরা কেন চায় বাইডেন জিতুক। কারণ বাইডেনের নীতি আমেরিকার পতনের পক্ষে যথেষ্ট।‘‘
কিন্তু যে চিনের বিরুদ্ধে্ এত গলা চড়াচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট, সেই চিনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়েও যে বিতর্ক হতে পারে ,সম্ভবত সেটা মাথায় রেখেই তিনি বলেছেন, ’’চিনের সঙ্গে আমরা বাণিজ্য চুক্তি সই করেছিলাম। কিন্তু সেই কালি এখনও শুকোয়নি। তারপরই মহামারী এসে হাজির হয়। ফলে আগে যে চোখে দেখেছিলাম এখন তার থেকে ভিন্ন চোখে দেখছি ওই চুক্তিকে।‘‘