ওয়াশিংটন: যে কোনও দেশের মানুষ আর আমেরিকায় ঢুকতে পারবেন না। আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ হল একাধিক দেশের নাগরিকদের। বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে বেশ কিছু দেশের উপর। সাম্প্রতিক কলোরাডোয় ইজরায়েলি গোষ্ঠীর উপর হামলাকে সামনে রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে কোনও রকম আপস করা হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। (US Travel Ban)
বুধবার আমেরিকায় প্রবেশ নিয়ে একাধিক দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ট্রাম্প। মোট ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সাতটি দেশের উপর। আমেরিকায় ঢোকা পুরোপুরি নিষিদ্ধ আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাড, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকুয়েটোরাল গিনি, এরাট্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের। (Donald Trump)
পাশাপাশি, আমেরিকায় প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে বেশ কিছু দেশের নাগরিকদের উপর। সেই তালিকায় রয়েছে, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টঙ্গো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনিজুয়েলা। B-1, B-2, F, M এবং J, ইমিগ্র্যান্ট এবং নন ইমিগ্র্যান্ট, দুই ধরনের ভিসাই সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ভিসার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরও আমেরিকা ছাড়তে না চাওয়া, তদন্তকারীদের সহযোগিতা না করার অভিযোগ রয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত।
আগামী ৮-৯ জুন মধ্যরাত থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে চলেছে। নিষেধাজ্ঞা চাপানো নিয়ে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির উপরই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দেওয়া হলেও, বেছে বেছে মুসলিম দেশগুলির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে ট্রাম্প উদ্যোগী বলে দাবি উঠছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথন দফাতেও তিনি এমন ঘোষণা করেছিলেন।
এবারে ট্রাম্পের বক্তব্য, "যে কোনও দেশের শরণার্থীদের জন্য দরজা খুলে দিতে পারব না আমরা, বিশেষ করে যেখানে যাচাইয়ের সুযোগ নেই। তাই নতুন নির্দেশিকায় সই করছি আমি, যেখানে ইয়েমেন, সোমালিয়া, হাইতি, লিবিয়া এবং আরও কিছু দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছি। সঠিক যাচাই প্রক্রিয়া ছাড়া ঢোকালে কী হতে পারে, কলোরাডো বোল্ডারের সন্ত্রাসী হামলা হামলায় তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা ওদের চাই না।"
আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধ করার কারণ হিসেবে তালিবানের আধিপত্য, ইরান ও কিউবার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত জোগানো এবং চাড ও এরাট্রিয়ার বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদের চেয়ে দীর্ঘ সময় আমেরিকায় থেকে যাওয়াকে তুলে ধরা হয়েছে। এর আগে, প্রথম দফায় ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনের উপর আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিলেন ট্রাম্প। ২০২১ সালে সেই নীতি থেকে সরে আসেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে সেই আগের নীতিই চালু করলেন ট্রাম্প।