আগেই সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। এবার চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি। রবিবার সন্ধে ৬টার মধ্যেই ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে হবে প্যালেস্তিনীয় জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসকে। কড়া বার্তা দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যথা, নরক-যন্ত্রণা ভোগের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ট্রাম্প বলেছেন, হামাসকে ইজরায়েলি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার এবং "যে কোনওভাবে শান্তি আসবেই" এই বলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
দুই বছর ধরে চলতে থাকা গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইজরায়েল ও হামাস উভয়কেই একটি শান্তি চুক্তিতে সম্মত হতে চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প। একটি ২০-দফা প্রস্তাবের রূপরেখা তুলে ধরেছেন তিনি, যা কেবল যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বানই জানাচ্ছে না, এর পাশাপাশি গাজার যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থার জন্য একটি কাঠামো তৈরির কথাও বলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব শেষ করার এটি একটি রোডম্যাপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তাঁর ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার জন্য তিন থেকে চারদিন আছে হামাসের হাতে। দিনকয়েক আগে এমনই বার্তা দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। এই পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামাস কর্তৃক পণবন্দীদের মুক্তি, হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজা থেকে ইজরায়েলের ধীরে ধীরে প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়। পরিকল্পনায় ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুদ্ধ-পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন কর্তৃত্বের প্রস্তাবও রয়েছে।
হোয়াইট হাউসে প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান যে, তিনি হামাসকে তাঁর শান্তি পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানাতে ৩-৪ দিন সময় দেবেন। তিনি বলেন যে, 'বাকি সকল পক্ষই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং তারা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করছে।' এর পাশাপাশি চরম সতর্কবার্তাও দেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, 'সমস্ত আরব দেশ এতে সই করেছে। মুসলিম দেশগুলি এতে সই করেছে। ইজরায়েলও এতে সই করেছে। আমরা কেবল হামাসের জন্য অপেক্ষা করছি, এবং হামাস হয় তা করবে, অথবা করবে না, এবং যদি তা না হয়, তবে এর অত্যন্ত দুঃখজনক পরিণতি হতে চলেছে।'
গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি লেখেন, ‘গাজ়ায় যুদ্ধ সমাপ্তির যে পরিকল্পনা পেশ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তাকে স্বাগত জানাই আমরা। এটি প্যালেস্তিনীয় ও ইজরায়েলি জনগণের জন্য তো বটেই, বৃহত্তর পশ্চিম এশিয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করছে। আশাকরি, সংশ্লিষ্ট সকলেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই প্রচেষ্টার পক্ষে একজোট হবেন এবং যুদ্ধের অবসান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন করবেন’।