নয়াদিল্লি: আমেরিকার মসনদে দ্বিতীয়বার ফিরেই কাটছাঁট শুরু করেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈধ কাগজপত্র না থাকা মানুষজনকে ফেরত পাঠানো থেকে কঠোর ভিসা নীতি, বাকি থাকেনি কিছুই। এবার জানা গেল, গত জানুয়ারি মাস থেকে ৮৫০০০ ভিসা বাতিল করেছে আমেরিকার সরকার। আমেরিকাকে ‘সুরক্ষিত’ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে বার্তা দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বহু ভারতীয় H1B ভিসা সংক্রান্ত অ্যাপয়েন্টমেন্টও বাতিল করা হয়েছে আপাতত। সেই নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে ভারতে আমেরিকার দূতাবাস। (US Visa Appointments)

Continues below advertisement

আমেরিকার বিদেশ বিভাগের তরফে মঙ্গলবার লিখিত বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘জানুয়ারি মাস থেকে ৮৫০০০ ভিসা বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং বিদেশ সচিব রুবিও বিশেষ নীতি মেনে চলেন এবং এখানেই থামবেন না’। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বার্তার সঙ্গে ট্রাম্পের একটি ছবিও পোস্ট করা হয়, যাতে লেখা ছিল, ‘আমেরিকাকে আবারও সুরক্ষিত করো’। (H1B Visa)

আমেরিকার বিদেশ বিভাগের এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে CNN জানিয়েছে, যে ৮৫০০০ ভিসা বাতিলের কথা জানানো হয়েছে, তার মধ্যে ৮০০০-এর বেশি পড়ুয়ার ভিসাও বাতিল হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। ভিসা বাতিলের জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, মারপিট, চুরির মতো কারণ তুলে ধরা হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে মেয়াদের চেয়ে অতিরিক্ত সময় থেকে যাওয়া, অপরাধমূলক ঘটনায় সংযোগ, সন্ত্রাসের পক্ষে সমর্থনের কথা উঠে এসেছে।  বাকি ভিসা কী কারণে বাতিল করা হল, তা স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়নি। 

Continues below advertisement

এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিসায় নজরদারি চলছে বলে জানা গিয়েছে। ফলে যে কোনও সময় আরও ভিসা বাতিল হতে পারে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার সরকার ১৯ দেশের নাগরিককে নিষিদ্ধ করেছে। সেই তালিকায় আরও সংযোজন হতে পারে। আমেরিকার ভিসা-কাটছাঁটে ভারতীয়রা বিশেষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারণ এদিনই ভারতে আমেরিকার দূতাবাসের তরফে বিশেষ নির্দেশিকা এসেছে। বলা হয়, ‘ভিসার জন্য আবেদন করেছেন যাঁরা…ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচি বদলানোর ইমেল পেয়ে থাকলে, নতুন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেতে সহযোগিতা করবে Mission India. আগের সময়সূচি অনুয়ায়ী এলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশ করতে পারবেন না’।

অর্থাৎ আমেরিকার ভিসার জন্য যে সমস্ত ভারতীয় ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ অ্যাপয়েন্টমেন্ট পেয়েছিলেন, তাঁদের অ্য়াপয়েন্টমেন্ট পিছিয়ে গিয়েছে পরের বছর মার্চে। কতজনের ক্ষেত্রে এমন হয়েছে, সেই সংখ্যা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। H1B ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়ায় এমনিতেই বিস্তর রদবদল ঘটানো হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট পর্যন্ত ‘পাবলিক’ করে রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকা সরকার।  সোশ্যাল মিডিয়ায় সকলের গতিবিধির উপরও নজর রাখছে তারা। আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনসুরক্ষার জন্য ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ নন, এমন লোকজনকেই আমেরিকায় ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পড়ুয়ারাও এই নজরদারির আওতায় রয়েছেন।