ওয়াশিংটন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে জোর প্রস্তুতি চলছে আমেরিকার।  কমলা হ্যারিস বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে লড়াই এবার। আর সেই আবহেই বেআইনি ভাবে আমেরিকায় বসবাসকারী ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠানো হল। রীতিমতো চার্টার্ড বিমান ভাড়া করে বেআইনি ভারতীয় অভিবাসীদের ফের পাঠাল আমেরিকা। ভারত সরকারকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছিল এবং পারস্পরিক সহযোগিতায় গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল বলে জানিয়েছে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগ। (US Illegal Immigration)


২২ অক্টোবর বেআইনি ভারতীয় অভিবাসীদের নিয়ে আমেরিকা ছাড়ে চার্টার্ড বিমানটি। আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক ক্রিস্টি এ কেনগ্যালো জানিয়েছেন, "ভারতীয় নাগরিক, বেআইনি ভাবে যাঁরা আমেরিকায় বসবাস করছেন, ধীরে ধীরে তাঁদের সকলকেই ফেরত পাঠানো হবে। পাচারকারীরা যা-ই বুঝিয়ে তাঁদের ঢুকিয়ে দিক না কেন, তাতে বিশ্বাস করা উচিত নয়।" আইনি অনুমোদন ছাড়া আমেরিকায় বসবাসকারী শরণার্থীদের সকলকেই চলে যেতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। (US Deportation)


হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, বেআইনি ভাবে যাঁরা দেশে প্রবেশ করছেন এবং বেআইনি ভাবে বসবাস করছেন আমেরিকায়, তাঁদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। আমেরিকায় থাকতে গেলে আইনি অনুমোদন থাকা জরুরি বলে সাফ জানানো হয়েছে। এ বছর জুন মাস থেকে আমেরিকায় নয়া আইন চালু হয়েছে, যার আওতায় বন্দর সীমান্তে নজরদারি আরও বেড়ে গিয়েছে।  সেই থেকে আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত হয়ে বেআইনি অনুপ্রবেশ প্রায় ৫৫ শতাংশ কমেছে বলে খবর।


২০২৪ অর্থবর্ষে আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিওরিটি বিভাগ ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি বেআইনি অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে। ভারত-সহ ১৪৫টি দেশ থেকে আগত বেআইনি অভিবাসীদের ৪৫৯টি আন্তর্জাতিক বিমানে চাপিয়ে ফেরত পাঠানো হয় নিজ নিজ দেশে। যে সমস্ত দেশ থেকে বেআইনি অভিবাসীরা আমেরিকায় প্রবেশ করছেন, সেখানকার সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।


আমেরিকা জানিয়েছে, আইনি অনুমোদন না থাকলে বেরিয়ে যেতে হবে।  বেআইনি অভিবাসন রোখা ছাড়াও, কড়া পদক্ষেপ করে অপরাধচক্রের হাতও বাঁধতে চাইছে সরকার।  টাকার বিনিময়ে পাচারকারীরা যেভাবে দলে দলে লোকজনকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে, তাতেও ইতি টানা লক্ষ্য। এর আগে, গত বছরও একই পদক্ষেপ করে আমেরিকা। ভারত ছাড়াও কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, মিশর, মরিটেনিয়া, সেনেগল, উজবেকিস্তান, চিন থেকে আমেরিকায় বেআইনি ভাবে বসবাসকারীদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়।