ওয়াশিংটন: ভারতকে ডোনেট করা প্রথম পর্যায়ের ১০০টি ভেন্টিলেটর সামনের সপ্তাহেই পাঠাতে প্রস্তুত থাকবে আমেরিকা। মঙ্গলবার কনফারেন্স কলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বলেছে, জি-৭ সামিট, কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে দুই নেতার আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট এটা জানাতে পেরে আনন্দিত যে, ডোনেট করা ১০০টি ভেন্টিলেটর ভারতকে সামনের সপ্তাহে পাঠানোর জন্য তৈরি হয়ে যাবে আমেরিকা।
মোদিও কয়েক দফা ট্যুইট করে ‘বন্ধু’ ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর উষ্ণ ও ফলদায়ক আলোচনা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। লেখেন, জি-৭ এ পৌরহিত্য করা, কোভিড-১৯ অতিমারী ও আরও নানা ইস্যুতে ওনার প্ল্যান নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের। ভারত-মার্কিন আলোচনার যে গভীরতা, সমৃদ্ধ চরিত্র আছে, তা কোভিড-পরবর্তী বিশ্ব পটভূমিতেও একটা গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের (পিএমও) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প সাতটি দেশের গোষ্ঠীতে আমেরিকার নেতৃত্বের কথা বলেছেন, বর্তমান সদস্য দেশগুলির বাইরেও গোষ্ঠীর পরিধি বাড়িয়ে তাতে ভারতের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিকে সামিল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি আমেরিকায় হতে চলা পরবর্তী জি-৭ শীর্ষবৈঠকে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন। মোদিও ট্রাম্পের প্রশংসা করেছেন তাঁর সৃষ্টিশীল, সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির জন্য, স্বীকার করেছেন যে, কোভিড-পরবর্তী দুনিয়ার পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই হবে এমন সম্প্রসারিত মঞ্চ। পিএমও আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন যে, প্রস্তাবিত শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্য নিশ্চিত করতে আমেরিকা, অন্যদের সঙ্গে রাজ করতে পেরে খুশি হবে ভারত।
পাশাপাশি আমেরিকায় চলতি নাগরিক অসন্তোষ, বিক্ষোভ, অশান্তির ঘটনায়ও উদ্বেগ জানিয়ে তার দ্রুত সমাধানের আশা প্রকাশ করে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন মোদি। পিএমও-র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই নেতা দুদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি, ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংস্কার নিয়েও মতামত বিনিময় করেছেন। আলোচনার মাঝে ট্রাম্প চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর ভারত সফরের কথাও আনন্দের সঙ্গে স্মরণ করেন। তখন মোদি বলেন, নানা দিক থেকে ওই সফর স্মরণীয়, ঐতিহাসিক হয়ে রয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও নতুন প্রাণ এনেছে। দুজনের আলোচনার ব্য়তিক্রমী উষ্ণ মেজাজের মধ্য দিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিশেষ চরিত্র, ব্যক্তিগত স্তরে দুই নেতার পারস্পরিক সৌহার্দ্যেরই প্রতিফলন ঘটেছে।