অমরাবতী : মার্কিন মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্যামব্যাকের সঙ্গে সঙ্গে খুশির জোয়ারে ভাসল অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রাম। সৌজন্যে - উষা চিলুকুরি ভান্স। কিন্তু, কে তিনি ?
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গী জে ডি ভান্স। তাঁরই স্ত্রী উষা। স্বভাবতই, তিনিই হতে চলেছেন আমেরিকার প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত 'সেকেন্ড লেডি।' বছর ৩৮-এর উষার শিকড় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তাঁর নতুন উচ্চতায় পৌঁছনো উৎসবের আমেজ তৈরি করে দিয়েছে পশ্চিম গোদাবরি জেলার ভাদলুরু গ্রামে। এখানেই উষার পরিবারের শিকড়।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে রিপাবলিকানদের টিকিটে ট্রাম্প ও ভান্সের জয়লাভের বিষয়টি স্পষ্ট হতেই এই গ্রামে শুরু হয়ে যায় উৎসব। বাজি পুড়িয়ে, মিষ্টি বিতরণ করে উদযাপনে মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা। এদিন সকালের দিকে গ্রামের কিছু মানুষ ট্রাম্প ও ভান্সের জয়ের জন্য প্রার্থনাও করেন। তাঁদের বক্তব্য, ট্রাম্প ও ভান্সের জয়লাভে উন্নতি হবে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের।
অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও বৈদ্যুতিনমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর ছেলে নারা লোকেশ বলেন, 'এটা অন্ধ্রপ্রদেশের মানুষের কাছে একটা বিশেষ মুহূর্ত। বিশেষ করে পশ্চিম গোদাবরী জেলার মানুষের কাছে। সেকেন্ড লেডি হতে চলা উষা ভান্সের শিকড় এখানকার। আমরা গর্বিত এই কারণে যে, অন্ধ্রপ্রদেশের কেউ আবার বিশ্বের ভিন্ন আবর্তে গিয়ে নিজেদের ছাপ রাখলেন।'
বছর ৪০-এর ভান্স ওহিও-র সেনেটর এবং প্রেসিডেন্ট পদে দ্বিতীয়বার বসতে চলা ট্রাম্পের সঙ্গী। তিনিই আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। ২০১৪ সালে তিনি ইয়েল থেকে আইনে স্নাতক করা উষাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে- ইওয়ান, বিবেক ও মিরাবেল।
উষার বাবা-মা রাধাকৃষ্ণ চিলুকুরি ও লক্ষ্মী চিলুকুরি ১৯৮০ সালে আমেরিকায় চলে যান। তাঁদের তিন সন্তানের মধ্য়ে একজন উষা। ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান ডিয়েগোয় তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে ব্যাচেলর ডিগ্রি আছে উষার। এর পাশাপাশি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। এরপর তিনি ইয়েল ল স্কুলে যোগ দেন। সেখানেই তাঁর ভান্সের সঙ্গে পরিচয়। তাঁদের বন্ধুত্ব ভালবাসায় গড়ায় এবং ২০১৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পৃথক অনুষ্ঠানে এক হিন্দু পুরোহিত তাঁদের আশীর্বাদ করেন।
প্রসঙ্গত, ফের মার্কিন মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। লড়াই দিয়েও হারতে হল কমলা হ্যারিসকে। ৭টি সুইং স্টেটের মধ্যে ৬টিতেই জয়ী ট্রাম্প। ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ২৭৭টি ইলেক্টোরাল ভোট, কমলা হ্যারিসের পক্ষে ২৬৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পড়ে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা, পেনসিলভেনিয়া, ওহিও, নর্থ ও সাউথ ক্যারোলিনা দখল রিপাবলিকানদের। হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসের লড়াইয়েও বাজিমাত রিপাবলিকানদের। ডেমোক্র্যাটের দখলে ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক, কানেক্টিকাট, কলোরাডো, ওরেগান ।
ইতিমধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।