বুরওয়াল, উত্তরপ্রদেশ : নজিরবিহীন । দুই রেলকর্মীর জন্য অসহায় অবস্থায় আটকে পড়লেন দু'টি এক্সপ্রেস ট্রেনের আড়াই হাজারের বেশি যাত্রী। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাবাঙ্কি জেলার বুরওয়াল জংশনের ঘটনা।
এই দু'টি ট্রেনের মধ্যে একটি ট্রেনের কর্মী হঠাৎ বলেন, তাঁর কাজের সময় (ডিউটি আওয়ার) শেষ হয়ে গেছে। অপর ট্রেনের লোকো পাইলটও কাজ শেষের আগে হঠাৎ দাবি করেন, তাঁর অস্বস্তি বোধ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রেনে জল, খাবার ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সংশ্লিষ্ট রেল ট্র্যাকও। সহরসা-নিউ দিল্লি স্পেশাল ফেয়ার ছট পুজো স্পেশাল ও বারাউনি-লখনৌ জংশন স্পেশালের ঘটনা।
রেল সূত্রে খবর, গত ২৭ নভেম্বর সন্ধে ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল ০৪০২১ ট্রেনের। কিন্তু, ট্রেনটি পরের দিন সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে সহরসা স্টেশন ছাড়ে। ১৯ ঘণ্টা দেরিতে গোরক্ষপুর স্টেশন পৌঁছয়। বুরওয়াল স্টেশনে কোনও হল্ট ছিল না এক্সপ্রেস ট্রেনটির। কিন্তু, দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ হঠাৎই অনির্ধারিত হল্টে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, 'আমাদের মতো গরিব যাত্রীদের এটা বিশেষ অত্যাচার ভারতীয় রেলের তরফে। জল নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ঘুমের কথা বলে লোকো পাইলট ও ট্রেনের গার্ড দুই জনেই ট্রেন থেকে নেমে গেছেন।'
এরপর ঘটনা প্রতিবাদে যাত্রীদের একটা বড় অংশ রেললাইন অবরুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। দেরিতে চলা ট্রেনের যাতে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই দাবিতে। সেই সময় যাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন আরপিএফ কর্মীরা।
অন্যদিকে, বারাউনি-লখনৌ জংশন এক্সপ্রেস (১৫২০৩) যেটা ইতিমধ্যেই সাড়ে ৫ ঘণ্টা দেরিতে চলছিল, সেই ট্রেন বুরওয়াল স্টেশনে পৌঁছয় বিকাল ৪টে ৪ মিনিট নাগাদ। সেই ট্রেনের যাত্রীরাও দেখেন, লোকোমোটিভ ইঞ্জিন ছেড়ে চলে গেছে ট্রেনকর্মীরা। এক রেল আধিকারিক জানান, "ট্রেনের এক লোকো পাইলট অস্বস্তি বোধ করছেন দাবি করে ট্রেন ছেড়ে চলে যান। যেহেতু যাত্রীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার, নতুন করে গোন্ডা জংশন থেকে কর্মীকে ডাকা হয়। এরপর বিকাল ৫টা ৪২ মিনিট নাগাদ লখনৌয়ের উদ্দেশে ট্রেন ছাড়ে।"
অপর ট্রেনের জন্যও গোন্ডা জংশন থেকে কর্মী আনার ব্যবস্থা করে পরিস্থিতি শান্ত করে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।