উত্তরপ্রদেশ: জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ চলাকালীন উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় সংঘর্ষ। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। সমীক্ষার কাজ চলাকালীন এলাকায় উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার। তা সত্ত্বেও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে ক্ষিপ্ত জনতা। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। ঘটনায় জখম হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
হিংসাত্মক সংঘর্ষ রুখতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ বাহিনী। বিক্ষোভের মাঝে প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। আহত হন বহু। মুঘলরা মসজিদ নির্মাণের জন্য একটি মন্দির ভেঙে দিয়েছিল, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার দল পৌঁছয় শাহী জামা মসজিদে।
সমীক্ষার দলকে দেখেই চোটে যান স্থানীয়রা। শ'য়ে শ'য়ে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয় সেখানে। বিক্ষোভকারীদের রুখতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ধ্বস্তাধস্তির মাঝে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভকারীরা এলোপাথাড়ি ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পালটা কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। তাও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি সম্বলের পরিস্থিতি। রাস্তার বহু গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। এরপরেই গুলি ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ।
এখনও উত্তপ্ত রয়েছে ওই এলাকা। ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।
আরও পড়ুন, স্কুলের ফি 'লাখ টাকা'! 'ভাল স্কুলে পড়ানো এখন বিলাসিতা', চোখ কপালে মধ্যবিত্তের!
হিংসার পর বিপুল সংখ্যক পুলিশ বল মোতায়েন করা হয়েছে। পিএসি-র বেশ কয়েকটি কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। মোরাদাবাদের ডিআইজি মুনিরাজ, এডিজি রমিত শর্মা সহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক ক্যাম্প করছেন। এসপি কৃষ্ণ কুমার জানিয়েছেন যে হিংসার ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছে। ড্রোনও এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হবে। তাদের চিহ্নিত করে এনএসএ-র কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করা হবে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে