নয়া দিল্লি: সরকারি স্কুলের বদলে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়ানো এখন ট্রেন্ড। কিন্তু ভারতীয় প্রাইভেট স্কুলগুলির বর্ধিত ফি অভিভাবকদের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিউশন ফি ছাড়াও, স্কুলগুলির বই, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যকলাপ এবং স্কুলের বাসের অতিরিক্ত খরচে মধ্যবিত্ত পরিবারে আর্থিক বোঝা বাড়িয়ে তুলেছে।
জয়পুরের এক উদ্যোক্তা ঋষভ জৈন সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন, যা ভাইরাল হয়েছে। জৈন তার শহরের একটি বিশিষ্ট স্কুলের ফি কাঠামো শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, একজন ক্লাস ওয়ানের ছাত্রকে বেসরকারি স্কুলে পড়াতে বছরে প্রায় ৪.২৭ লক্ষ টাকা লাগছে।
তিনি এও বলেন, 'আগামী বছর আমার মেয়েকে স্কুল পাঠাবো। তার আগে স্কুলগুলির ফি নিয়ে একটি সমীক্ষা করছিলাম। নামী-দামী স্কুল আরও কিছুটা বেশি চার্জ করে।' ঋষভ জৈনের মতে, বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা উপার্জন করে এমন পরিবারের পক্ষে হয়তো কিছুটা সম্ভব। তাছাড়া সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ছেলেমেয়েদের ভাল স্কুলে পড়ানো যেন বিলাসবহুল হয়ে পড়ছে।
তিনি এও বলেন, বার্ষিক আয়ের উপর এই ধরনের পরিবাররা ট্যাক্স ছাড়ও পান না। এদিকে, জীবনযাত্রার মান কিছুটা হলেও বেড়ে যায়। এরপর ইএমআই, লোনের টাকা দিয়ে সঞ্চয় আর হতে চায় না। কারণ এরপর মাথায় থাকে ছেলেমেয়েদের স্কুলে বিশাল ফি দেওয়ার চিন্তা।
আরও পড়ুন, হঠাৎই আকাশ থেকে টাকার বৃষ্টি! ২০ লক্ষ টাকা উড়ে এল রাস্তায়! তুমুল শোরগোল
এই পোস্টটি সোশাল মিডিয়ার নজর কেড়েছে অনেকেরই। কম বেশি সকলেই সমর্থন জানিয়েছেন ঋষভ জৈনকে। অনেকেই বলেছেন, ভারতের সকলের বার্ষিক আয় ২০ লক্ষ টাকা নয়। অথচ সাধ আছে ছেলেমেয়ে ভাল স্কুলে পড়ানোর। কিন্তু সাধ থাকলেও সাধ্য থাকে না আর তাঁদের।
অনেক নেটিজেনদের কথায়, 'আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থাকে জোকস এর পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে দেশের রাজনীতিকরা। শিক্ষাব্যবস্থা থেকে কীভাবে লাভ তুলবেন সেসব ভাবেন রাজনীতিকরা। খুব কম বেসরকারি স্কুল আছে যারা যথার্থ শিক্ষা দিতে পারে। বেশিরভাগই স্রোতে ভাসা। ট্যাক্সের টাকায় শিক্ষাব্যস্থাকে ঢেলে সাজানো আরও উন্নত করা উচিত।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে