মিরাট: যুবকের ঘাড়ে মোটরসাইকেল বেঁধে ১৫ কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হল ১৫ কিলোমিটার। মুখে ও শরীরে ছিল বুলেটের ক্ষত, অজস্র আঘাতের চিহ্ন। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল বাম পা। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের স্থল উত্তরপ্রদেশের মিরাটের মান্ডি অঞ্চলের হাপুর জেলার ধিখেড়া গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে একটি নির্মিয়মান আন্ডারপাসের পাশে এই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে শিউরে ওঠে পথচলতি সাধারণ মানুষ।

পাশবিক হত্যার শিকার হওয়া ২১ বছরের এই যুবকের নাম মুকুল কুমার। গত বছরই পড়াশোনা শেষ করে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে হাপুরে থাকতে এসেছিলেন মুকুল। পরিবার সূত্রে খবর, অত্যন্ত লাজুক ছেলে ছিলেন মুকুল। কেবল তাঁর কেন, তাঁর পরিবারেরও কোনও শত্রু ছিল না কখনও। কোনওরকম ঝামেলা থেকে সবসময় শতহস্ত দূরে থাকাই মুকুলের স্বভাব।

এই ঘটনায় পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, মোটরসাইকেল করে টেনে নিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মুকুলকে খুন করার কারণ নিয়ে এখনও দ্বন্ধে পুলিশ।

এই ঘটনা সম্পর্কে জেলার পুলিশ সুপার বলেছেন, ‘যদি লুঠ করার জন্য এই খুন করা হত তবে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি কখনই মোটরবাইকটি ফেলে যেত না। এই কাজ ওই যুবকের কোন অসৎ বন্ধুদেরও হতে পারে।’

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে মোটরসাইকেলটিও। সচিন বলে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েকদিন আগেই সেটি ধার করেছিলেন মুকুল।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মুকুলের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার মাথার পিছনে গভীর ক্ষত রয়েছে। এই ক্ষত যদি বুলেটের আঘাত হয় তবে তা মাথা ফুঁড়ে বেরোনোর কোনও চিহ্ন নেই। ময়না তদন্ত হবার পর মুকুলের মৃত্যু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে মনে করছেন তাঁরা।

এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।