নয়াদিল্লি: বারংবার চেষ্টা করা সত্ত্বেও কাশ্মীর ইস্যুর আন্তর্জাতিকীরণ করতে তিনি ব্যর্থ। ফের একবার স্বীকার করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দিলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়ায় তিনি আশাহত।
যখন থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব করেছে কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইমরান। কিন্তু, অধিকাংশ দেশ ভারতকেই সমর্থন করেছে।
এপ্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপু্ঞ্জের সাধারণ সভা বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইমরান বলেন, আমি আন্তর্জাতিক মহল নিয়ে আশাহত। তাঁর প্রশ্ন, যদি ৮০ লক্ষ ইউরোপীয় বা ইহুদি বা ৮ জন মার্কিনকে আটকে রাখা হত, তাহলে তখনও কি বিশ্ব একইভাবে (নিষ্প্রভ) প্রতিক্রিয়া দিত?
ইমরান যোগ করেন,(কাশ্মীরে) অবরোধ তোলার জন্য মোদির ওপর কোনও চাপ দেওয়া হচ্ছে না। তবে, আমরা চাপসৃষ্টি করে যাব। ৯ লক্ষ বাহিনী কী করছে ওখানে? একবার, কারফিউ উঠলে ঈশ্বর জানেন সেখানে কী হবে। আপনার কি মনে হয়, (মোদি সরকারের) এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরিরা নিঃশব্দে তা মেনে নেবে?
এখানেই থেমে থাকেননি ইমরান। দেশের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে ফের একবার মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বলেন, শুরুতে কারফিউ প্রত্যাহার করা জরুরি। এমনকী, কংগ্রেস দলও জানিয়েছে, ৫০ দিন ধরে গরিব মানুষ ভিতরে আটকে রয়েছে। রাজনৈতিক বন্দিদের কী অবস্থা কেউ জানে না। মোদি একটা অন্ধ গলিতে নিজেকে আটকে রেখেছেন।
এর আগে, জম্মু  ও কাশ্মীর নিয়ে যে ডসিয়ার তৈরি করেছিল পাকিস্তান, তাতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী ও  ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লার মন্তব্যকে হাতিয়ার করা হয়েছিল, যা তাঁরা ৩৭০ ধারা বিলোপ প্রসঙ্গে করেছিলেন। ডসিয়ারে রাহুলকে উদ্ধৃত করে সেখানে বলা হয়, প্রায় ২০ দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরবাসীর স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। বিরোধী নেতা থেকে শুরু করে সংবাদমাধ্যম-- সকলকে বলপ্রয়োগ করে শ্রীনগর যাওয়া থেকে আটকে দেওয়া হয়।
সেই ঘটনার পর দেশে প্রবল সমালোচনার সম্মুখীন হন রাহুল। যার পরই, সাফাই দিয়ে তাঁর নাম ব্যবহার করার জন্য পাকিস্তানকে একহাত নেন তিনি। রাহুল জানিয়ে দেন, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে ইসলামাবাদের হস্তক্ষেপের কোনও এক্তিয়ার নেই। একইসঙ্গে, জম্মু ও কাশ্মীরে অশান্তি ও হিংসায় মদত ও উস্কানি দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।