নয়াদিল্লি: দেশে ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু সংক্রমণ কমলেও উদ্বেগ কমছে না। আর এই আবহে ১ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে চারধাম যাত্রা। এই চারধাম যাত্রার জন্য কড়া বিধি জারি করল উত্তরাখণ্ড সরকার। শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বেশ কিছু ধর্মীয় স্থানে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষকে। দর্শনার্থীদের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার। 


রাজ্য সরকারের তরফে সুবোধ উনিয়াল জানান, চামোলি, উত্তরকাশি, রুদ্র প্রয়াগের বাসিন্দাদের মন্দিরে ঢোকার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য এই বিধি জারি করা হয়েছে। উনিয়াল আরও জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার কোভিড সংক্রান্ত বিধির ক্ষেত্রে আপস করবে না। প্রত্যেক পুণ্যার্থীকে করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিতে হবে। উত্তরাখণ্ডে পুণ্যার্থীদের যাওয়ার মূল চারটি জায়গা বদ্রিনাথ, কেদারনাথ, যমুনোত্রী এবং গঙ্গোত্রি।"


উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বেশ কয়েকটি ধর্মীয় স্থান চারধাম যাত্রার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তাতে পুণ্যার্থীর সংখ্যা থাকবে সীমিত।  প্রতিদিনই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, প্রত্যেক পুণ্যার্থীর আরটি-পিসিআর বা র্যা পিড অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। উনিয়াল জানিয়েছে, রাজ্য সরকারের দেওয়া যাবতীয় বিধি মানতে হবে প্রত্যেক পুণ্যার্থীকে। কিন্তু চারধাম যাত্রার জন্য কি সারা রাজ্যেই অনুমতি দেওা হবে? এ প্রসঙ্গে সুবোধ উনিয়াল জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। 


সুবোধ উনিয়াল বলেন, "তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া সহ করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টার আতঙ্ক রয়েছেই। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না রাজ্য সরকার। চারধাম যাত্রার জন্য গোটা রাজ্য খুলে দেওয়া হবে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না।" এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে উত্তরাখণ্ডে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২ হাজার ৬২৭। 


উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে চারধাম যাত্রা নিয়ে রাজ্য সরকারকে  গাইডলাইন জারি করতে বলেছে উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে সতর্ক হতে। কুম্ভমেলার ভিড়ের কথা উল্লেখ করে জমায়েত নিয়ে সতর্ক হতেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।