Uttarakhand Helicopter Crash: উত্তরাখণ্ডের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে পাইলট রাজবীর সিং চৌহানের। বেসরকারি সংস্থার পাইলট হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে রাজবীর ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল। ১৪ বছরের বেশি সময় ধরে সেনাবাহিনীতে ছিলেন তিনি। সিভিলিয়ান হেলিকপ্টার পাইলট হিসেবে যোগদানের আগে পাঠানকোটে Army Aviation Corps- এ পোস্টিং ছিল রাজবীর সিং চৌহানের। র‍্যাঙ্ক ছিল লেফটেন্যান্ট কর্নেল। রাজবীরের সহকর্মী ক্যাপ্টেন ভি কে সিং, রাজবীরের মৃত্যুর খবর দিয়েছিলেন তাঁর বাবাকে। ক্যাপ্টেন ভি কে সিংয়ের কথায়, ককপিটে থাকাকালীন রাজবীরের শেষ বার্তা ছিল, 'আমি বাঁদিকে ঘুরছি ল্যান্ড করার জন্য।' তার ঠিক পরেই ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টারটি। 

Continues below advertisement

২০১১ সালে বিয়ে হয় রাজবীরের। তাঁর স্ত্রী-ও ভারতীয় সেনার একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল। বিয়ের ১০ বছর পরে, এই বছরই বাবা হয়েছেন তিনি। মাস চার আগে যমজ সন্তানের বাবা হয়েছিলেন রাজবীর। বিয়ের ১০ বছর পর সন্তান সুখ পেয়েছিলেন রাজবীর এবং তাঁর স্ত্রী। পরিবারেও ছিল দারুণ খুশির আবহাওয়া। এমন আনন্দের মুহূর্ত উৎসব করে পালন করতে চেয়েছিলেন রাজবীর, তাঁর স্ত্রী এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা। সেই মতোই ৩০ জুন একটি বড় উৎসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। চৌহান পরিবারে নেমে এল আকস্মিক শোকের পরিবেশ। চার মাসের দুই ছেলে জানতেই পারল না, বাবা কাকে বলে। পিতৃত্বের সুখ পেলেন না রাজবীরও। ছেলেদের বড় হওয়া, বেড়ে ওঠা- কোনও কিছুরই আর সাক্ষী থাকা হল না তাঁর। 

রাজবীরের বাবা গোবিন্দ সিং চৌহান জানিয়েছেন, ২৫ তারিখ ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর ছেলের। পরিবারে যমজ নাতি আসার আনন্দে যে অনুষ্ঠান করার কথা ছিল, তার জন্য ভেন্যুও বুকিং করা হয়ে গিয়েছিল। কোন অতিথিদের নিমন্ত্রণ করা হবে তার তালিকাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। পুরো পরিবার আনন্দ উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কাজকর্মে যোগ দিয়েছিলেন সকলে। আর তার মধ্যেই চৌহান পরিবারে এল এই দুঃসংবাদ। ভারতীয় সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেওয়ার পর আরিয়ান এভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড - এই সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন রাজবীর। স্ত্রী'র ডেলিভারির সময় কয়েকদিনের বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। তারপর যোগ দেন এই বেসরকারি সংস্থায়। হেলিকপ্টার ওড়ানো শুরু করেছিলেন মাত্র মাস দেড়েক আগে। আর তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, যার জেরে প্রাণ হারাতে হল পাইলট রাজবীর সিং চৌহানকে। 

Continues below advertisement