পার্থপ্রতিম ঘোষ, উত্তরকাশী: উত্তরকাশীতে (Uttarakhand Rescue Operation) সুড়ঙ্গ বিপর্যয়ের ১৩ দিন। শ্রমিকদের উদ্ধারে রুদ্ধশ্বাস অভিযান চলছে। 'অগার' যন্ত্র মেরামতির পর আজ ফের শুরু ড্রিলিং। আটকে থাকা শ্রমিকদের আরও কাছে উদ্ধারকারীরা। বুধবার রাতেই সুড়ঙ্গে ঢুকে পড়েছেন NDRF-এর ২১ জন উদ্ধারকারী। সুড়ঙ্গে বাইরে অপেক্ষায় অ্যাম্বুল্যান্স। প্রস্তুত রাখা হয়েছে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্পও।


শ্রমিকদের উদ্ধারে রুদ্ধশ্বাস অভিযান: ৩ দিন পার, এখনও উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন ৪১ জন শ্রমিক। গতকাল পাথর কাটার 'অগার' যন্ত্র বিকল হয়ে পড়েছিল। তা মেরামত করা হয়েছে। মাইক্রো টানেল তৈরির জন্য যে পাইপ ঢোকানো হচ্ছিল, তার সামনের দিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ওই অংশ কেটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১১টা নাগাদ ফের ড্রিলিং শুরু করা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানিয়েছেন, আগামী ৫ মিটার পর্যন্ত কোনও ধাতব বস্তু নেই, তাই পাথর কাটার কাজ সহজ হবে। আজকের মধ্যেই আটকে থাকা শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। সব দিক ঠিক থাকলে সন্ধে ৬টার মধ্যে বের করে আনা যাবে শ্রমিকদের। বিশেষ ধরনের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে টানেলের ভেতরে কী অবস্থা তা বোঝার জন্য। যেখানে জিপিএস নেই, এমন জায়গায় কাজ করবে এই ড্রোন।


 



বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত আর দুই মিটার মাত্র খুঁড়তে পেরেছিল ওই মেশিন। বিকল হয়ে যাওয়ায় থমকে গিয়েছিল উদ্ধারকাজের (Uttarkashi Tunnel Collapse) প্রক্রিয়া। আন্তর্জাতিক স্তরের টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স (Arnold Dix) ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে আর মাত্র কয়েক মিটার বাকি। ওরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। Auger Machine ভেঙে গিয়েছে। ওটা সারাই করা হচ্ছে, আগামীকালের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। এই ড্রিলিং মেশিন তিনবার করে ভেঙে গিয়েছে।'  


কীভাবে চলছে উদ্ধারকাজ? প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রাক্তন উপদেষ্টা ভাস্কর খুলবে জানিয়েছেন, "শ্রমিকরা ঠিকভাবেই ওখানে রয়েছে। শেষ পর্যায়ের কাজ করার জন্য তাঁরা প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন। আজ সন্ধে ৬টার মধ্য়ে আমরা সবাইকে সুখবর দিতে চাইছি। জিপিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করেছি। যেখানে কাজ করছি সেখানে আগামী ৫ মিটার পর্যন্ত কোনও ধাতব বস্তু নেই।'' 


আরও পড়ুন: North Bengal Weather: মেঘমুক্ত পরিষ্কার আকাশ, উত্তরবঙ্গে বাড়ছে শীতের আমেজ