নয়াদিল্লি: ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। খারাপ সময়ে কেটে গিয়েছে। ভ্যাকসিন মিলবে জানুয়ারি মাসেই। করোনা আবহে এমন আশার কথাই শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তবে সংক্রমণ কমলেও কঠোরভাবে মানতে হবে করোনাবিধি। ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হতে বলেছেন।


তিনি বলেন, এবছর ৩০ জানুয়ারি প্রথম সংক্রমণের হদিশ মেলে। তখন থেকেই আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। গত ৩-৪ মাস ধরে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে তিবি বলেছেন, খারাপ সময়ে কেটে গিয়েছে। কিন্তু ঢিলেমি দেওয়া চলবে না। সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব।


সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সম্ভবত জানুয়ারি থেকে শুরু করা যাবে টীকাকরণ। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যজেলা ও ব্লক স্তরে টীকাকরণের জন্য রুট ম্যাপ তৈরি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আপাতত ৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ২৬০টি জেলায় কুড়ি হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।


ব্রিটেনে যখন ভাইরাসের নতুন রূপ দেখা দিয়েছে সেই সময় আশার কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, সরকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। কোনও পরিস্থিতির কথা ভেবে, কোনও আলোচনা করে অযথা চিন্তা করবেন না। আতঙ্ক ছড়াবেন না। সারা বিশ্বের মধ্যে ভারতের সুস্থতার হার ৯৫ থেকে ৯৬ শতাংশ। এদিকে ব্রিটেনে সংক্রমণের নতুন রূপ  দেখা দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল।


উল্লেখ্য, ব্রিটেনে লাগামহীন করোনা সংক্রমণ। ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন তথা প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। কার্যত হাতের বাইরে চলে গিয়েছে পরিস্থিতি। সিল করে দেওয়া হয়েছে সব সীমান্ত। ব্রিটেনের সমস্ত বিমান বাতিল করে দিয়েছে একাধিক দেশ। এই তালিকায় আছে বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, কানাডার মতো দেশ। শনিবার লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন ধারা করোনা ছড়াতে পারে খুবই দ্রুত হারে। ভাইরাসের অন্য প্রজাতির তুলনায়, এই ৭০ শতাংশ ক্ষতিকর। আর তাতে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে লন্ডনে।