নয়াদিল্লি : বৈষ্ণোদেবী ( Vaishno Devi )যাওয়ার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জম্মুর ঝজ্জর কাটলি এলাকায় খাদে বাস পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। আহত ২০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অমৃতসর থেকে কাটরা যাওয়ার পথে, সেতু থেকে খাদে পড়ে যায় বাস। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ শশী সুদন জানিয়েছেন , সেখানে ভর্তি থাকা আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ৬ টা। বাসটি অমৃতসর থেকে কাটরা যাওয়ার পথে ঝজ্জর কাটলি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কাটরা হল ত্রিকুট পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত মন্দিরের তীর্থযাত্রীদের বেস ক্যাম্প।
জম্মুর সিনিয়র পুলিশ সুপার চন্দন কোহলি সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা সাথে-সাথেই উদ্ধার কাজ শুরু করে। পরে সেখানে ছুটে যায় সিআরপিএফ এবং পুলিশ কর্মী। ঝাজ্জরের মতো পাহাড়ি এলাকায় উদ্ধারকাজ চালানো কঠিন হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় আহত ৫৭ জনকে জম্মুর জিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালের সুপার সুদন জানান , 'যাঁরা ওই দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন , তাঁদের মধ্যে দুজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল এবং অন্যরা ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন।'
সূত্রের খবর, বেশিরভাগ যাত্রীই বিহারের লক্ষীসরাইয়ের বাসিন্দা। পরিবারের এক শিশুর ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য মাতা বৈষ্ণো দেবী দর্শনে যাচ্ছিলেন তাঁরা । মোটামুটি সকলেই একই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজন।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বাসটি বাম লেনে ছিল, কিন্তু চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে সেটি ডান পাশে পেরিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়।
এর আগে গত ২১ মে, জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় মাতা বৈষ্ণো দেবী তীর্থযাত্রীদের নিয়ে রাজস্থানগামী একটি বাস উল্টে গেলে ২৭ বছর বয়সী এক মহিলা নিহত এবং ২৪ জন আহত হন।