নয়া দিল্লি : করোনা ভাইরাস অতিমারি ছড়িয়ে পড়ার পর দেশের বহু মানুষ বিদেশে আটকে পড়েন। এর জেরে সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দেশের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। একের পর এক বিমানে তাঁদের বিদেশ থেকে উড়িয়ে আনা হয়। 'বন্দে ভারত' মিশন নামের এই উদ্যোগে ৭১ লক্ষ যাত্রীকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ১০০-র বেশি দেশ থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনা হয়। এর পাশাপাশি ৫৭ লক্ষর বেশি যাত্রীকে ভারত থেকে বিদেশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে।
তাছাড়া কড়া স্বাস্থ্য-বিধি মেনে বন্দে ভারত মিশনে বিমান চলাচল করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের প্রোটোকল মানা হয়েছে। আজ রাজ্যসভায় লিখিত আকারে কেন্দ্রের তরফে একথা জানান অসামরিক পরিবহন দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিংহ।
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বহু ভারতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আটকে পড়েন। তাঁদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ শুরু হয় গত বছর ৭ মে থেকে। দফায় দফায় ভারতীয়দের ফেরানো হয়। এছাড়া এদেশে আটকে পড়েন অনেক বিদেশিও। এই পরিস্থিতিতে গত বছর ৭ মে থেকে বন্দে ভারত মিশন শুরু হয়। এবছর ২৪ জুলাই পর্যন্ত এই মিশনের আওতায় কত যাত্রী যাতায়াত করেছেন তারই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে ভারতীয় অসামরিক পরিবহন মন্ত্রক।
এই প্রকল্পের হাত ধরে দেখা গেছে মানবিক দৃশ্যও। এক ক্যানসার রোগীর শেষ ইচ্ছা পূরণ হয় বন্দে ভারত মিশনে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওই তরুণীকে মায়ের সঙ্গে দেখা করাতে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
ক্যানসারের শেষ পর্যায়ে থাকা ওই তরুণীর হাতে আর বেশি দিন নেই। তাঁর মা থাকেন তামিলনাড়ুর ত্রিচিতে। করোনার জেরে গোটা বিশ্বে এখন যাতায়াতে কড়াকড়ি। তারই মধ্যে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর কাজ চালিয়ে যায় বন্দে ভারত মিশন। মেয়েটির শেষ ইচ্ছা পূর্ণ করে তারা। এ জন্য সিঙ্গাপুরের বিদেশ মন্ত্রী ভিভিয়ান বালকৃষ্ণণকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি তারা ওই অসুস্থ তরুণী ও তাঁর পরিবারের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া যাত্রীদের।