নয়া দিল্লি: ধর্ম জানার পর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে হত্যা। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে একের পর এক খুন। কাশ্মীরে সন্ত্রাসের নামে হিন্দু গণহত্যা চালাল জঙ্গিরা। ভূস্বর্গে নারকীয় হত্যালীলার পর শোকগ্রস্থ গোটা দেশ। এদিকে এই ঘটনার পর পর একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে একজন ব্যক্তি কেক হাতে দাঁড়িয়ে আছেন। যদিও এই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি লাইভ।              

এবিপি লাইভ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ওই ব্যক্তিকে সংবাদমাধ্যমের তরফে প্রশ্নও করা হয় যে কেকটি সে কীসের জন্য নিয়ে এসেছেন, যদিও এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দেননি ওই ব্যক্তি। ভাইরাল ভিডিওটিতে এও দেখা যায়, সাংবাদিকরা তাকে জিজ্ঞাসা করছেন, "উদযাপন কীসের জন্য? কেক কীসের জন্য?" সেই সময় নিরুত্তরই থাকেন ওই ব্যক্তি। 

এদিকে, ইসলামাবাদকে কড়া বার্তা দিতে দিল্লিতে নিযুক্ত পাক কূটনীতিক সাদ আহমেদ ওয়ারাইচ ডেকে পাঠাল ভারত। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে ভারত ছাড়তে হবে। ওই পাক কূটনীতিককে তলব করে পার্সোনা নন গ্রাটা অর্থাৎ ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার সরকারি নির্দেশনামাও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভারতে তাঁদের উপস্থিতি যে কাম্য নয়, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয় পাক কূটনীতিককে। মঙ্গলবার পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতেই ভারতের এই পদক্ষেপ। 

কাশ্মীরে নিরীহ পর্যটকদের উপর হামলায় উত্তপ্ত দেশ। সেই আবহে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে পাক হাই কমিশনের সামনে প্রতিবাদ চলে। ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অ্যান্টি টেরর ফোরামের ব্যানার নিয়ে পাকিস্তান হুঁশিয়ার, পাকিস্তান মুর্দাবাদ বলে স্লোগানও ওঠে। 

এদিকে, পহেলগাঁওয়ে হামলার ২ দিন, এখনও অধরা জঙ্গিরা। আটকের সংখ্যা ২ হাজার। জঙ্গিদের খোঁজ দিতে পারলে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু কাশ্মীরে হাই অ্যালার্ট জারিরয়েছে। চলছে চিরুনি তল্লাশি। ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। ভূস্বর্গ থেকে দলে দলে ফিরে যাচ্ছেন পর্যটকরা। ২৬ জনকে যেখানে গুলি করে মারা হয়েছে, সেই ছবির মতো সুন্দর বৈসরন উপত্যকা শুনশান। পহেলগাঁওজুড়ে শুধু ভারী বুটের শব্দ। টহল দিচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। রাস্তায় CRPF-এর চেকিং পয়েন্টে চলছে নজরদারি। প্রতিটি গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলছে, পরীক্ষা করা হচ্ছে নথি।